সামনে বাঁশের ব্যারিকেড। দূর থেকে দেখতে হচ্ছিল তাঁকে। উঁকি দিয়ে দেখতে হচ্ছিল তাঁকে। তা বুঝতে পেরেই রাহুল গাঁধী সোমবার ওই ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে বললেন।
তারপরে ধুবুরি জেলার গৌরীপুরে ডুমুরদহ শঙ্করীক্ষেত্রের মাঠে তিনি আক্রমণ করলেন বিজেপি’কে। বললেন, ‘‘মোদীজি অসমে আসেন, এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে চলে যান। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীজি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কালাধন দেশে ফিরিয়ে এনে ওই টাকা দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অ্যাকাউন্ট খুলে জমা করে দেবেন।’’ এরপরেই তাঁর প্রশ্ন—‘‘আপনারা কি তা পেয়েছেন?’’
এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ হেলিকপ্টার করে ডুমুরদহ শঙ্করী ক্ষেত্রের মাঠে নামেন রাহুল গাঁধী। এ দিন রাহুলকে সঙ্গ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অঞ্জন দত্ত এবং অসমের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের নেতা সিপি যোশী। আগামী ১১ এপ্রিল অসমের ধুবুরি জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে বিধানসভার নির্বাচনের জন্য জেলার ৭টি বিধান সভা সমষ্টির কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট প্রচারে এসেছিলেন রাহুল।
রাহুলের কথায়, ‘‘কংগ্রেসের কাজ ভেদাভেদ দূর করে সকলকে এক করা আর বিজেপির কাজ হচ্ছে বিভেদ তৈরি করা।’’ মোদীকে আক্রমণ করে তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী গুচ্ছ গুচ্ছ রকমারি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, অসমের ভোটারা তা জানেন।
তিনি দাবি করেন, ‘‘অসমের ১৫ বছরের কংগ্রেসের রাজত্বে শান্তি ফিরে এসেছে। প্রশস্ত হয়েছে উন্নয়নের পথ। এ বারও রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার তৈরি করতে সাহায্য করুন, উন্নয়নের পথ আরও প্রশস্ত হবে।’’