fisherman

জঙ্গলে আটকের জেরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

অভিযোগ, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রাজাভাতখাওয়ার তৃণমূল নেতারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:২৩
Share:

ক্ষোভ: পূর্ব রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।

মাছ ধরতে যাওয়া এক যুবককে বনকর্মীদের আটক করার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ অফিসে। মঙ্গলবার সকালে উত্তেজিত জনতা ওই রেঞ্জ অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। দুপুর পর্যন্ত রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখানো হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রাজাভাতখাওয়ার তৃণমূল নেতারাও। কালচিনি ও শামুকতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গদাধর বনবস্তির বাসিন্দা উপেন রাভা নামে ওই যুবক সোমবার বিকেলে নদীতে মাছ ধরতে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় আচমকাই বনকর্মীরা তাঁকে আটক করেন বলে অভিযোগ। যে ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, বনকর্মীরা রেঞ্জ অফিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তেজিত জনতা রাস্তা থেকে ওই যুবককে ছিনিয়ে নেয়। বনকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সামান্য ধস্তাধস্তিও হয়। বিষয়টি নিয়ে রাতেই এক দফা পূর্ব রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ অফিসের সামনে বিক্ষোভ হয়। বন আধিকারিকরা মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে সকলে বাড়ি ফিরে যান।

কিন্তু বন আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সেই আলোচনার আগেই পাঁচ বনকর্মীর বদলির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। তার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। বিক্ষোভ চলাকালীন উত্তেজিত জনতা আচমকাই রেঞ্জ অফিস লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, রেঞ্জ অফিসের কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। ভেঙে ফেলা হয় রেঞ্জ অফিসের বাইরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশ রেঞ্জ অফিসের একটি দরজাও ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলালে দুপুরের পরে বিক্ষোভ ওঠে।

Advertisement

তৃণমূলের রাজাভাতখাওয়া অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদাক আমির রাভা পাল্টা অভিযোগ করেন, বনকর্মীরাই রেঞ্জ অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে তাঁদের বদনাম করার চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মাছ ধরতে যাওয়া অসুস্থ উপেন রাভা আমাদের দলের কর্মী হওয়ায় বিজেপি সমর্থক কয়েক জন বনকর্মী বিনা দোষে তাঁকে আটক করে হেনস্থা করেন। সে জন্যই এ দিনের বিক্ষোভে আমরাও সামিল হই।’’ পাঁচ বনকর্মীকে বদলি করা না হলে আগামী দিনে আরও আন্দোলন হবে বলেও হুশিয়ারি দেন আমির।

বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জঙ্গল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি। স্রেফ সুরক্ষার জন্য তাঁকে বাইরে আনা হচ্ছিল। তার জেরে রেঞ্জ অফিস ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তাঁরা।। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement