সিএএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিলে নেই রবি-জগদীশ

রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমার একাধিক সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। দিনভর সেগুলিতেই ছিলাম। পঙ্কজ তুফানগঞ্জের মিছিলে ছিলেন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২৭
Share:

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনকে হাতিয়ার করেই সংগঠন জোরদার করতে আসরে নেমেছে তৃণমূল। সোমবার কোচবিহার জেলা জুড়ে একসঙ্গে মিছিল করে কেন্দ্রের শাসক দলকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় নামল রাজ্যের শাসক দল। অথচ সেই মিছিলের কোনওটাতেই দেখা গেল না তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াকেও মিছিলে দেখা যায়নি। তৃণমূলের একটি অংশের অভিযোগ, এমন ঘটনায় অনৈক্যের ছবি আরেকবার স্পষ্ট হল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ দিন কয়েক আগেই নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাই তাঁকে মিছিলের মতো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তুফানগঞ্জের মিছিলে অবশ্য বিধায়ক ফজলে করিমের সঙ্গে মন্ত্রী-পুত্র পঙ্কজ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অবশ্য একটি অংশ দাবি করেন, এবারের মিছিলেই ঐক্য ছিল।

Advertisement

রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমার একাধিক সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। দিনভর সেগুলিতেই ছিলাম। পঙ্কজ তুফানগঞ্জের মিছিলে ছিলেন।” সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ জানান, সিতাই ব্লকে এদিন কৃষিমেলার উদ্বোধন হয়েছে। সেখানেই তিনি ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁর কর্মী-সমর্থকদের তিনি দিনহাটার মিছিলে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, “সবাইকে মিছিলে পাঠিয়েছি। কৃষিমেলার জন্য আমি যেতে পারিনি।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ অবশ্য দাবি করেছেন, বর্তমানে দলের মধ্যে কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। রাজ্য নেতৃত্ব প্রত্যেক মহকুমায় মিছিলের জন্য নেতৃত্বদের দায়িত্ব দেন। সেই হিসেবেই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এই মিছিল গোটা জেলায় সাড়া ফেলেছে। মানুষ এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কতটা ক্ষুব্ধ তা ওই মিছিল থেকেই প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ বারে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ব্লকে ব্লকে অবস্থান ও বিক্ষোভ করা হবে। খুব শীঘ্রই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিরও কোচবিহারে এসে মিছিল করার কথা রয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল এদিন পাঁচটি মহকুমায় আলাদা আলাদা মিছিল করে। দিনহাটায় বিধায়ক উদয়ন গুহ লুঙ্গি পড়ে মিছিলে সামিল হন। মাথাভাঙায় মিছিলের দায়িত্ব ছিল বিনয়কৃষ্ণ এবং বিধায়ক হিতেন বর্মণের উপরে। দু’জনেই মিছিলে হাজির ছিলেন।

Advertisement

মেখলিগঞ্জে মিছিলে ছিলেন অর্ঘ্যরায় প্রধান, তুফানগঞ্জে বিধায়ক ফজলে করিম। কোচবিহারে মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী, দলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, যুব জেলা সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মণ। দলের আরেক নেতা বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল জলিল আহমেদকেও মিছিলে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, “মন্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে দেরি হয়ে যাওয়াতে মিছিলে যোগ দিতে পারিনি।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী দাবি করেন, তৃণমূলের মিছিল এদিন সাড়া ফেলতে পারেনি।

কোচবিহার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফাসিরঘাটে বিজেপির একটি পার্টি অফিসও ভাঙচুর হয়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, ‘‘তৃণমূল বোমাবাজি করেছে, ভাঙচুর করেছে।’’ তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement