পড়ুয়া: মেলায় বইয়ের দোকানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
কৃষি ও উদ্যান পালন তাঁর প্রিয় বিষয়। সুযোগ পেলেই বক্তব্যের অংশ জুড়ে থাকে ফল-ফুলের উপকারিতা। সেই সঙ্গে রাজনীতি তো রয়েইছে। সিএএ ও এনআরসি নিয়ে দেশে টানাপড়েন চলছে। তাই ‘দেশভাগে’র নানা বিষয় নতুন করে উঠে আসছে অনেকেরই কলমে। তা নিয়েও বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি। কোচবিহার বইমেলায় গিয়ে এমনই নানা বিষয়ক বই কিনে নিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার রাতে তিনি বইমেলায় যান। স্টলে স্টলে ঘুরে আট হাজার টাকার বই কেনেন তিনি। তাঁর বই কেনা দেখে খুশি প্রকাশকদের অনেকেই। মন্ত্রী বলেন, “সময় পেলেই বই পড়তে ভাল লাগে। প্রত্যেকবার বইমেলা থেকেই কিছু বই সংগ্রহ করি। এ ছাড়া আমাদের জেলার অনেক লেখকের বই বার হয়। তাঁদের বইও সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করি।”
এ বারে ৩০ ডিসেম্বর থেকে কোচবিহার বইমেলা শুরু হয়েছে। চলবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। নিয়মিত মেলায় আসছেনও। মন্ত্রী আশা রাখেন, এ বারেও কোচবিহারে বইয়ের বিক্রি কয়েক কোটিতে পৌঁছবে। বইয়ের প্রতি টান রবীন্দ্রনাথবাবুর নতুন নয়। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে ভাল লাগত তাঁর। গোয়েন্দা কাহিনি থেকে শুরু করে গল্প-উপন্যাস তো বটেই, পড়তে ভাল লাগে সুকুমার রায়ের ছড়াও। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই বই পড়ার সময়ও কমেছে। তবে সুযোগ পেলে একদমই তা হাতছাড়া করেন না। মন্ত্রীকে নানা জায়গায় বক্তব্য দেওয়ার সময়ই দেখা যায়, কোন ফলের কেমন গুণ, শাক-আনাজ খাওয়ায় কী উপকারিতা রয়েছে, সে সব কথা বলে থাকেন। নিজেই জানালেন, এই নিয়ে পড়তে ভাল লাগে তাঁর। এ বারেও সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু বই কিনেছেন।
সিএএ, এনআরসি-র প্রেক্ষিতে দেশভাগ সংক্রান্ত বইয়ের খোঁজ করেন রবীন্দ্রনাথ। পেয়েও যান। রাজর্ষি বিশ্বাসের সম্পাদনায় ‘দেশভাগের লাভ-ক্ষতি’ বইটি কেনেন মন্ত্রী। ওই বইয়ে উত্তরবঙ্গের অনেক লেখকের লেখা রয়েছে। মেলা থেকে কোচবিহারের শিক্ষক শৌভিক রায়ের ‘মেঘ মেঘ বাদল বাদল’ গল্পগ্রন্থ কিনেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে ধীরে ধীরে সবই পড়ব।”