মকদমপুরে সরকারি স্টলে লম্বা লাইন গ্রাহকদের। নিজস্ব চিত্র।
কাঁধে ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়ে ঘুরছিলেন চিকিৎসকদের চেম্বারে। সরকারি স্টলে ২৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিকোতে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন লাইনে। ল্যাপটপের ব্যাগেই দু’কিলো আলু কিনে মোটরবাইকে ওঠেন এক যুবক। চিকিৎসার কাজে এসে পাঁচ কেজি আলু কিনে বাড়ি ফেরেন এক দম্পতিও। মঙ্গলবার দুপুরে আলু কেনার এমনই ধুম পড়ে মালদহের মকদমপুর বাজারের সরকারি স্টলে।
ইংরেজবাজারের অরবিন্দ কলোনির দম্পতি সঞ্জয় ও পিঙ্কি হরিজন বলেন, “খুচরো বাজারে আলুর দর ৪০ টাকা। সেদ্ধ ভাত খেতে হলেও আলুর প্রয়োজন। এ দিন চিকিৎসার জন্য মকদমপুরে এসেছিলাম। চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বেরিয়েই দেখি সরকারি স্টলে আলু ২৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই ওষুধের টাকা দিয়ে আলু কিনে বাড়ি ফিরছি।” পরে ওষুধ কিনে নিয়ে যাবেন বলে জানান তাঁরা। কৃষি বিপণন দফতরের এক কর্মী বলেন, “অনেকে নতুন ব্যাগ কিনে আলু নিয়ে যাচ্ছেন। আলু নিতে লাইন পড়ছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে আলুর চাহিদা জেলায় কতটা রয়েছে।”
পুজোর আগে থেকেই শহর থেকে গ্রাম— মালদহের বাজারে আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মাসদুয়েক আগে আলুর দাম ছিল ৩৫ টাকা। জেলার হিমঘরে এখনও উৎপাদনের ৩০ শতাংশ আলু মজুত রয়েছে বলে জানান কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারা।
তবু এত দাম কেন? দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘মালদহে পোখরাজ আলু উৎপাদন হয়। এখানে সেই আলুর চাহিদা নেই। ফলে হিমঘরে মজুত থাকা জেলার আলু পাড়ি দিচ্ছে ভিন্ রাজ্যে। আর ভিন্ জেলার জ্যোতি আলু মালদহে বিকোচ্ছে চড়া দামে।”
কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, পুজোর আগে মালদহে ২০ টন আলু নায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। এ দিন থেকে ফের মকদমপুর, আমবাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। মালদহের নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব অনুপম মৈত্র বলেন, ‘‘দু’দিনের মধ্যে আরও ২০ টন আলু আসবে। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নায্যমূল্যে আলু বিক্রি করা হবে।’’