বিধায়ক তাঁর দাবিতে অনড়, সাকিরের ফোন
police investigation

Police: পুলিশি তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন

বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলায় জেলায় যেন বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৫৫
Share:

১৭ মার্চ গন্ডগোলের পর পুলিশ পিকেট বন্দিরামগছে। ফাইল চিত্র।

এক জন তৃণমূলের বিধায়ক, অন্য জন তৃণমূলেরই উপপ্রধান। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান দলীয় কর্মিসভায় পুলিশকে ফাঁড়ির মধ্যে বেঁধে রাখার হুমকি দিয়েছেন। অন্য জন হামিদুলের অনুগামী বলে পরিচিত সাকির আহমেদ তাঁর কাছে থাকা বোমা-বন্দুক দিয়ে ঘর-বাড়ি ভাঙার হুমকি দিয়েছেন। প্রথম ঘটনাটির পরে ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়টির পরেও কিছুটা সময় গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই দু’টি বিষয় নিয়ে পুলিশকে প্রকাশ্য কোনও তদন্ত করতে দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী এবং স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ যদি দ্রুত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ না করে, চোপড়াতেও বগটুইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে সেখানে এর আগে যখন হিংসার ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলায় জেলায় যেন বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরেও জেলা জুড়ে এমন অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, যত অস্ত্র লুকনো থাকতে পারে, ধরা হয়েছে তার সামান্যই। তাঁরা সাকির আহমেদের বিবৃতির দিকে আঙুল তুলে বলছেন, যদি এক জন পঞ্চায়েত উপপ্রধান দাবি করেন যে, তাঁর কাছে এলাকা উড়িয়ে দেওয়ার মতো অস্ত্র আছে, তা হলে গোটা বিধানসভা কেন্দ্রে বা জেলায় কত অস্ত্র থাকতে পারে ভেবে দেখুন।

একই সঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা হওয়ার জন্যই হামিদুল ও সাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে সম্ভবত ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হচ্ছে। যথারীতি গত কয়েক দিনের মতো এ দিনও এই বিষয় নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার সচিন মক্কার বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছ্বুক ইসলামপুরের এক পুলিশকর্তা বলেন, “বিধায়ক ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের না করলে পুলিশ আপাতত তাঁদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করবে না।” তাঁর দাবি, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে কারও কাছে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হলে তার প্রভাব ও রাজনৈতিক রঙ না দেখে গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত পাল্টা দাবি করেন, “তৃণমূলের বিধায়ক ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সাহস নেই সাধারণ মানুষের। পুলিশ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তদের বাঁচাচ্ছে।” বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তম পালের মতে, তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশে পুলিশ হামিদুল ও সাকিরের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করেনি।

সাকিরের মোবাইল ফোন বন্ধ। হামিদুল আবার বলেন, “পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করছে না। তাই এলাকার মানুষ ফাঁড়ি ঘেরাও করে পুলিশকে বেঁধে রাখলে, আমি মানুষের পাশেই থাকব বলেছি।”

(তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ পাল)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement