বাজেটে চোখ। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ন দে।
কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে কোনও সুবিধা মিলবে কি না বুঝতে মুদ্রা যোজনা, বেসরকারি ক্ষেত্রে গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দের মতো ঘোষণায় উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে চা শিল্প। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেটে চা শিল্পের পরিকাঠামো সংক্রান্ত নিয়ে তেমন কোনও ঘোষণাই শোনা যায়নি বলে দাবি। চা শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ বেশ কয়েকটি বাজেটে ঘোষণা করা হয়ে আসছে। সেটিকেই এ বার নাম বদলে ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি।
যদিও এ বছর ভারতীয় চা একাধিক পরীক্ষার মুখোমুখি বলে দাবি চা বিপণনকারীদের। বিশেষত, একাধিক কীটনাশক নিষিদ্ধ তালিকায় ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক। তৈরি চা পাতার নমুনা পরীক্ষারও নির্দেশ এসেছে। গত কয়েক বছরের পরে চলতি বছরে আবহাওয়ার খামখেয়ালে উৎপাদন সবচেয়ে কম।
চা গবেষণা সংস্থার (টিআরএ) চেয়ারম্যান নয়নতারা পালচৌধুরী বলেন, “গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এতে চা গবেষণা কেন্দ্রগুলিও বরাদ্দ পাবে বলে আশা।” ছোট চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘সিস্টা’-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “এক কথায় আমরা হতাশ।” বাগান পরিচালকদের সংগঠন ‘টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র মহাসচিব প্রবীরকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “দক্ষতা বৃদ্ধি, পর্যটন, ডিজিটাল পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা নিয়ে বাজেটে ঘোষণার সুফল চা শিল্প পাবে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের কথাও বলা আছে বাজেটে।” চা শ্রমিক নেতা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘‘চা বলয়ের উন্নয়নে এক টাকাও বরাদ্দ হল না। আসলে কেন্দ্র চা শ্রমিকদের কথা ভাবে না।”