Admission

ভর্তি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আবার কোনও পড়ুয়া পাসকোর্সে ভর্তি পরে যদি নাম প্রত্যাহার করে অন্য কলেজে চলে যায় সে ক্ষেত্রেও পাসকোর্সের তালিকায় তাঁর নামের পাশে লেখা থাকছে ‘নট অ্যাডমিটেড’।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৫৭
Share:

প্রতীকী চিত্র

প্রথমে পাস কোর্সে ভর্তি করা হচ্ছে, পরে যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তি করা হচ্ছে অনার্সে। এমনই পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে শিলিগুড়ি কলেজে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলির মধ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি কলেজেই এমন নিয়ম কেন চলছে সেই প্রশ্ন উঠছে। যে নিয়মে শিলিগুড়ি কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়া চলছে, তাতে নানা সমস্যা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। উঠছে অনিয়মের অভিযোগও। কী সমস্যা হচ্ছে? পড়ুয়া এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর একাংশের অভিযোগ, প্রথমে পাসকোর্সে ভর্তি হওয়া পড়ুয়া পরে অনার্সে ভর্তি হলে দুই জায়গাতেই তাঁর নাম থাকছে।

Advertisement

তবে ফি জমা করার হিসেব থাকছে অনার্সের তালিকাতেই। অনার্সে ভর্তির পরে পাসকোর্সে নামের পাশে লেখা হচ্ছে ‘নট অ্যাডমিটেড’। আবার কোনও পড়ুয়া পাসকোর্সে ভর্তি পরে যদি নাম প্রত্যাহার করে অন্য কলেজে চলে যায় সে ক্ষেত্রেও পাসকোর্সের তালিকায় তাঁর নামের পাশে লেখা থাকছে ‘নট অ্যাডমিটেড’। তাই কে ভর্তি হচ্ছেন আর কে ভর্তি হননি সাধারণ ভাবে তা বোঝা যাচ্ছে না ওই তালিকা দেখে। তাছাড়া পাসকোর্সে ‘নট অ্যাডমিটেড’ লেখা হলে তাঁকে কী ভাবে অনার্সে ভর্তি করানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন উঠছে।

কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও রকম অনিয়ম ঘটছে না। ‘নট অ্যাডমিটেড’ বলে যাদের নামের পাশে লেখা হয়েছে তাঁদের একাংশ অনার্সে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কারা পাসকোর্সে তালিকা দেখে তা বুঝতে অসুবিধা হলেও অনার্সের তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে।’’ ‘নট অ্যাডমিটেড’ না লিখে তাঁদের নামের পাশে ‘আপগ্রেডেড টু অনার্স’ বা ‘শিফটেড টুন অনার্স’ বা ‘ট্রান্সফার্ড টু অনার্স’ লেখা হচ্ছে না কেন? কলেজের অ্যাডমিশন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্না বলেন, ‘‘অন লাইনে ভর্তির প্রযুক্তিগত দিকটি যে এজেন্সি দেখছে তাদেরকেও জানানো হয়েছে। তারা সেটা চেষ্টা করছেন বলে জানান। তবে তা করতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না ঘটে সেটা দেখতে হচ্ছে।’’

Advertisement

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোর একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া কী ভাবে হবে তা নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের অধীনে থাকা ৬২টি কলেজের অধ্যক্ষ বা প্রতিনিধিদের নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বরাবর যে ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া হয় সে ভাবেই ‘অনলাইনে’ হবে। অথচ শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানছে না বলে অভিযোগ। সারা বাংলা অধ্যক্ষ সমিতির উত্তরবঙ্গের সম্পাদক সমীরেন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনেই সব কলেজ ভর্তি করছে। শিলিগুড়ি কলেজ তার বাইরে কী ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া করছে তা জানা নেই।’’ শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, ভর্তির প্রক্রিয়া দ্রুত করতে কলেজ এই পদ্ধতি মানছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement