Containment Zone

Balurghat Containment zone: কনটেনমেন্ট জ়োনে অবাধ বিচরণ, প্রশ্ন

জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে চালু হয়েছে আক্রান্ত পরিবারের বাড়িকে কেন্দ্র করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১ ০৯:৩৪
Share:

বিধিভঙ্গ: জেলায় এখন ১৯টি কনটেনমেন্ট জ়োন চালু রয়েছে। কিন্তু সেগুলিতে পোস্টার, ব্যারিকেড নেই, নেই পাহারাও। তাই বিধিভঙ্গ হচ্ছে নিয়মিতই। ছবি: অমিত মোহান্ত

বালুরঘাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কচিকলা ক্লাব সংলগ্ন একটি বাড়িতে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। কিন্তু ওই ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা এবং পাশের ডাকাত কালীবাড়ির সামনে আত্রেয়ী নদীর বাঁধে ব্যারিকেড, পাহারা বা নোটিশ চোখে পড়ে না। দিব্যি মাস্ক ছাড়াও অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আক্রান্ত এলাকায়।

Advertisement

জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে চালু হয়েছে আক্রান্ত পরিবারের বাড়িকে কেন্দ্র করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন। ঘোষণার পর থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ওই বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে জনসমাগম, যাতায়াত এবং আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। নজরদারির নেই পুলিশেরও!

জেলায় এখন ২০টি এ রকম জ়োন রয়েছে। কিন্তু সেগুলিতে পোস্টার নেই, ব্যারিকেড নেই, পাহারাও নেই। তাই বিধিভঙ্গ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। যদিও পোস্টার সাঁটা বা ব্যারিকেড করার নির্দেশ এখনও উপর মহল থেকে আসেনি বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

Advertisement

বালুরঘাট পুর এলাকায় সংক্রমণের হার গ্রামীণ এলাকার চেয়ে অনেক বেশি। রবিবার জেলায় মোট ১২ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তার মধ্যে ১০ জনই বালুরঘাট পুর এলাকার বলেই জানা গিয়েছে। বালুরঘাট পুর এলাকায় ৯৯ শতাংশ মানুষেরই প্রথম টিকা হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা।

প্রথম পর্যায়ের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে পুলিশি পাহারা ছিল। যদিও, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, "পুলিশকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এলাকাগুলি নজরদারিতে রাখতে।" জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে করোনার মোকাবিলা করছেন মানুষ। একটা বড় সময় ধরে লকডাউন চলছে। ব্যবসা তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে এলাকা ভিত্তিক সার্বিক লকডাউন বা ব্রড বেসড কন্টেনমেন্টের দিকে না হাঁটারই চেষ্টা চলছে। কিন্তু সার্বিক লকডাউন না করলেও, প্রথম পর্যায়ের কনটেইমেন্ট জোনগুলি ঘিরে যে তৎপরতা পুলিশ এবং প্রশাসনের থাকার কথা তা নজরে আসছে না। এই ঢিলেঢালা ভাবে জন্যই কি ফের করোনা শহরে বাড়ছে! প্রশ্ন উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement