প্রতীকী ছবি
তালেশ্বরগুড়ির দেখানো পথ অনুসরণ করল অন্য গ্রামগুলিও। কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়া নিয়ে নানা জটিলতা, বাধার খবর গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু অন্য ছবিও আছে। কয়েকদিন আগে তালেশ্বরগুড়ির গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই গ্রামের তিনটি বাড়ি খালি করে, কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করেছিলেন। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের টটপাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ওই গ্রামে যাঁরা ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন, তাঁদের সেখানে রাখা হয়েছে। এ বার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকি ১১টি গ্রামও, তালেশ্বরগুড়ির দেখানো পথে নিজেদের গ্রামেই কোয়রান্টিন সেন্টার গড়ে তুলতে শুরু করেছেন। ওই গ্রামগুলির যে সব বাসিন্দা বাইরে থেকে আসবেন, তাঁদের নিজের গ্রামেই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা হবে।পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় তিনশো জন শ্রমিক বাইরে থেকে ফিরবেন।
টটপাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান দূতকুমার রায় প্রতিটি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে তালেশ্বরগুড়ি গ্রামের মতো সব গ্রামেই কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেই পরামর্শ মেনে গ্রামে গ্রামে কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা জানান, এর জন্য বেশ কিছু ফাঁকা বাড়ি, বেসরকারি সংস্থার বেশ কিছু ঘর এবং ফাঁকা মাঠকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
খাটাজানি ১০/১৪৮ নম্বর গ্রামে রবিবার তিনজন ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছেন। ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য খোকন সরকার জানান, ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা তিন জনকে গ্রামের একটি খালি করে রাখা বাড়িতে হয়েছে। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অন্য বাড়িতে রাখা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বুথ যশোডাঙা ১০/২৫৪ গ্রামে রবিবার ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরবেন ১৩ জন। তাঁদেরকে রাখার জন্য তিনটি বাড়ি খালি করে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
ব্লক প্রসাশনের এক কর্তা জানান, ব্লকে অন্তত চার হাজার শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরবেন। তাঁদের রাখার মতো কোয়রান্টিন কেন্দ্র এখনও গড়ে তোলা যায়নি। সেই প্রক্রিয়া চলছে। টটপাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দূতকুমার রায় বলেন, ‘‘দুশো জনের থাকার মতো কোয়রান্টিন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও একশো জনের জন্য দ্রুত কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়া হবে। ১২টি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যরা এবং গ্রামবাসীরা সবাই এগিয়ে আসায়, আমরা সুন্দরভাবে কাজটা করতে পারছি।’’
শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘’টটপাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্যরা উদ্যোগ নিয়ে কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি এ ভাবে এগিয়ে এলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা অনেক সহজ হবে।‘’