বিক্ষোভ: টয় ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে অনীত থাপার অনুগামীরা। নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিঙের টয় ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে পাহাড়ের প্রবীণ নেতা অমর সিংহ রাইয়ের নেতৃত্বে স্টেশনের মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ দেখালেন অনীত থাপার অনুগামীরা। পাহাড়ের দুই বিজেপি বিধায়ক এবং বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হন এ দিন। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত থেকে না সরলে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথাও বলা হয়। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ১টা অবধি জোর বৃষ্টির মধ্যে টয় ট্রেনের ৮টি স্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে। ঘুম স্টেশনে অমর সিংহ রাই, কেশবরাজ পোখরেলের মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনীত অবশ্য এ দিনের কর্মসূচিতে অংশ নেননি। দার্জিলিঙে তিনি নিজের দফতরে বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। অনীত বলেন, ‘‘বিজেপি গোর্খাদের আত্মসম্মান, মর্যাদার বড় বড় কথা বলে গোর্খাদের গর্ব বেচে দিচ্ছে। সবাই মিলে আমাদের এটা রুখতে হবে।’’ তিনি জানান, টয় ট্রেনের আন্দোলনে সাধারণ বাসিন্দারাও এগিয়ে আসছেন। এতে কোনও রাজনীতি নেই। সকলকে পাহাড়ের গরিমা বাঁচাতে হবে বলে জানান তিনি।
দল ঘোষণার আগে মোর্চার দলীয় পতাকা ছাড়া এ দিনই অনীতের প্রথম কর্মসূচি। সুকনা থেকে দার্জিলিং— প্ল্যাকার্ড়, পোস্টার, ফ্লেক্স নিয়ে প্রতিটি স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সেই সময়ই দার্জিলিঙে বসে ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর নতুন দলের পথ চলা শুরুর কথা বলেছেন অনীত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দার্জিলিংকে আরও সুন্দর, শান্তি এবং উন্নয়নের প্রতীক করার কাজে নামছি। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ আমাদের সঙ্গে আসছেন। বাকি সব ৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে।’’
টয় ট্রেনের বেসকারিকরণ নিয়ে সমাজ মাধ্যমেও সরব পাহাড়বাসীরা। রাজনীতির বাইরে এসে লোকজন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরাও প্রতিবাদ জানিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। রেলের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, টয় ট্রেনের স্টেশন এবং লাগোয়া এলাকাকেও বেসরকারি সংস্থা ব্যবহার করতে পারে। এতে পাহাড়ের টয় ট্রেনের লাইন, স্টেশনের পাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরাও দলে দলে এ দিন সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। প্রতিটি স্টেশনে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে গণস্বাক্ষর অভিযান চালু করা হয়েছে। নতুন দল খোলার মুখে টয় ট্রেন নিয়ে পাহাড়ের মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন অনীত অনুগামীরা।
যদিও বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা আবার বলেছেন, ‘‘সরকারি সিদ্ধান্ত না বুঝে অকারণে রাজনীতির চেষ্টা করা হচ্ছে।’’