চিন্তায়: চিলাপাতা এলাকায় গাড়ি চালক ও টুরিস্ট গাইডরা। নিজস্ব চিত্র
আশায় বুক বেধেছিলেন ওঁরা। পুজোর মুখে সুদিন আসবে। সব বাধা কাটিয়ে প্রতি বছরের মতো ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে উত্তরের বনাঞ্চল। পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হবে। কিন্তু এ নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা না হওয়ায় সঙ্কটে হোম-স্টে, রিসর্টের মালিক, জঙ্গল সাফারি গাড়ির চালক এবং গাইডেরা। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি করে আসছিলেন ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যটকদের জন্য বনাঞ্চল খোলা, কলকাতা-ডুয়ার্সগামী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর। দাবি পূরণ না হওয়ায় পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত সংগঠনগুলি উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সহ সভাপতি বিপ্লব দে বলেন, ‘‘পর্যটকদের জন্য এখনও বনাঞ্চল খোলা হল না। আন্দোলন ছাড়া আর উপায় নেই। ২১ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছি।’’বনদফতর সুত্রে খবর, প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে টানা তিন মাস রাজ্যের সমস্ত বনাঞ্চল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ফের সমস্ত খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, অতিমারির কারণে ব্যাতিক্রম ঘটল এ বার।
চিলাপাতার একটি হোমস্টের মালিক বিমল রাভা জানালেন, এই ব্যাবসাকে পুনরায় বাঁচিয়ে তোলার জন্য জঙ্গল খোলা এবং ট্রেন চালু করা অত্যন্ত জরুরি।বনকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, এ বিষয়ে অরণ্য ভবন সিদ্ধান্ত নেবে। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে এক বনকর্তা জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর বনাঞ্চল খোলার বিষয়টি নিয়ে সল্টলেক অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা বনমন্ত্রীর। এ দিকে, বুধবারও অরণ্য ভবনে একটি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেখানে ২৩ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। ১৮ তারিখ এ বিষয়ে ঘোষণা করতে পারেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ইঙ্গিত দেন শীঘ্রই সমস্ত খোলা হবে। গত সপ্তাহে বন দফতরের কর্তারা ওই রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর বলেন, ‘‘রিপোর্ট নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তা তৈরি হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, বনকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন ধাপে ধাপে বন দফতরের বাংলো ও অন্য থাকার জায়গাগুলিতে পর্যটক সংখ্যা বাড়ানো হোক। হঠাৎ ভিড় হলে বিপদ হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। কিছু জায়গায় সচেতনতা প্রচার, করোনা নিয়ে পোস্টারিংয়ের প্রস্তাব রয়েছে।