জুটি: অমল আচার্যর সঙ্গে অভিজিৎ সাহা। নিজস্ব চিত্র
কোথাও শূন্যে গুলি। কোথাও বুথের বাইরে বোমা। তাছাড়া বুথ থেকে ইভিএম বের করে ভাঙচুর ও বিরোধীদের মারধরের অভিযোগে রবিবার পুরভোটের দিন তপ্ত হয়ে উঠেছিল রায়গঞ্জ। আটটি ওয়ার্ডে ভোটের দিন গোলমালের অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে একটি বাদে সব কটিই দখল করেছে তৃণমূল। এই ফল নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
ভোটের দিন ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শূন্যে গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী এবং ৭ নম্বরে তৃণমূল জিতেছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বুথের সামনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। ওই ওয়ার্ডেও জয়ী তৃণমূল। ১৯, ২৪ ও ww২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের বাইরে বোমা ফাটিয়ে ভোটারদের ছত্রভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে। ৭ এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি বুথে দুষ্কৃতীরা দুটি ইভিএম ও আসবাব ভাঙচুর করে। সেগুলিতেও জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের দাবি, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সমস্ত ওয়ার্ডেই গুলি ও বোমা ছুড়ে বুথ দখল করে ছাপ্পা দিয়েছে। তার জেরেই জয় পেয়েছে।’’
তা ছাড়া বেশ কিছু ওয়ার্ডে জয়ের ব্যবধানকেও ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১১৯৪ ভোট, ৫ নম্বরে ১২৯০, ১০ নম্বরে ১০৪৬ ভোটে জিতেছে তৃণমূল। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবধান ৯৪৮, ১২ নম্বরে ১১৮৪। দু’হাজারেরও বেশি ভোটে ১৩, ১৬ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী। বিরোধীদের দাবি, সন্ত্রাস না হলে জয়ের ব্যবধান এত বাড়ত না।
তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাহলে ‘সন্ত্রাস’ হওয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি জিতল কী করে? বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের উত্তর, ‘‘নির্বাচনের দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা শুন্যে গুলি ছুড়লেও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের মধ্যে সাময়িক আতঙ্ক ছড়ালেও পরে তাঁরা সাহস করে একজোট হয়ে নিজের ভোট নিজে দিয়েছেন।’’ তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাম-কংগ্রেস সন্ত্রাস চালিয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের বক্তব্য, ‘‘উন্নয়নের কাছে হার হয়েছে সন্ত্রাসের। বাসিন্দারা কোনও অপপ্রচারে কান দেবে না।’’