সুন্দর: তবু যখন পছন্দের প্রতিমার খোঁজ মেলে। শিলিগুড়ির বাজারে মঙ্গলবার দুপুরে। ছবি: বিনোদ দাস।
ফুল থেকে শুরু করে ফলমূল, আনাজ। সরস্বতী পুজোর বাজারে দামের আগুনে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়ার অবস্থা সকলের। শিলিগুড়ি হোক বা জলপাইগুড়ি— দুই শহরেই জিনিসের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর যথেষ্ট বেড়েছে।
মঙ্গলবার থেকে পুরোদস্তুর বাজার বসে গিয়েছে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, থানা মোড়, হাসপাতাল মোড়, গেটবাজার, চম্পাসারি বাজার-সহ নানা জায়গায়। ছাঁচে গড়া থেকে শুরু করে বড় প্রতিমার বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। দশকর্মা ভাণ্ডারের দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল। কুমোরটুলি থেকে পাহাড়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাবগুলিতে প্রতিমা যাওয়া শুরু হয়েছে। এ দিকে সরস্বতী পুজোর আগে কুল, আপেল, মুসম্বি, নারকেল এবং পলাশ ও গাঁদা ফুলের দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
বিধান মার্কেটে এ দিন বাজার করতে এসেছিলেন সুভাষপল্লির বাসিন্দা অমৃত দে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর বাড়িতে বড় করে সরস্বতী পুজো করি। কিন্তু এ বছর প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। দাম শুনে, সামান্য কিছু ফল কিনেছি। কোনও রকমে পুজো সারতে হবে।’’ মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির দিনবাজারের সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে বসা পবন জৈনের কথায়, “প্রতিমার দাম এ বছর কিছুটা বেড়েছে। মাটি, রং সবেরই দাম বেড়েছে। অনেকে খুচরো নেই বলে প্রতিমা কিনতে সমস্যায় পড়েন। অনলাইনে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি দোকানে।” যদিও এক ক্রেতার কটাক্ষ, “প্রতিমার দাম এ বছর এত বেড়েছে যে পকেটে থাকা নগদ টাকা দিয়ে কুলোনো যাচ্ছে না। তাই বিক্রেতারা অনলাইনে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন।”
একটি পলাশ ফুলের দাম ১৫-২০ টাকা। একটি মাটির দোয়াত বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। একটি খাগের কলম ১০-১৫ টাকা। সরস্বতী পুজোর প্রধান উপকরণের এমনই দাম দুই শহরে। এ দিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে পুজোর কেনাকাটা করতে ভিড় উপচে পড়ে। বাজারে ফল থেকে আনাজ এবং ভোগের উপকরণের দাম আকাশছোঁয়া বলে দাবি ক্রেতাদের। সরস্বতী মূর্তির বাজারও যথেষ্টই চড়া। কৃষ্ণনগরের ছোট মূর্তির চাহিদাও যথেষ্টই বলে দাবি বিক্রেতাদের। পুজোর বাজার করতে ভিড় বাড়তে থাকায় যানজট শুরু হয়ে গিয়েছে।