প্রতীকী ছবি।
কোনও ক্লাস দু’দিন, কোনও ক্লাস আবার নেওয়া হবে তিন দিন। ভিড় এড়াতে গৌড়বঙ্গের নামি কলেজ গুলিতে স্নাতকের ক্লাস ভাগের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের একাধিক কলেজেই বাংলা, ইতিহাস, পরিবেশের মতো বিষয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা সব থেকে বেশি। তাই অফলাইনে ক্লাস ভাগ করে পাঠন-পাঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দাবি কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, স্কুলের মতো সংস্কারে টাকা না মিললেও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থেকে জীবাণুমুক্ত করার কাজও শুরু হয়েছে কলেজগুলিতে। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে স্কুল, মাদ্রাসায়।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ও দুই দিনাজপুর নিয়ে রয়েছে ২৫টি কলেজ। এরমধ্যে মালদহেরই ১১টি কলেজে স্নাতকে ছাত্রছাত্রী রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। দুই দিনাজপুরেও পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, মালদহ, কালিয়াচক, মহিলা, গৌড়, চাঁচল কলেজে সব থেকে বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, ইটাহার কলেজেও পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি রয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে কলেজ খুললে একসঙ্গে সমস্ত পড়ুয়া হাজির হলে ভিড় সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। অধ্যক্ষদের একাংশের দাবি, “করোনা আবহে কলেজও বন্ধ ছিল। কলেজ খুললে পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা বাড়বে। সিংহভাগ পড়ুয়া হাজির হলেই কোভিড বিধি মেনে চলা সম্ভব হবে না।”
ভিড় এড়াতে কলেজে ক্লাস ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তী ছেত্রী বলেন, “কলেজগুলিকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বাংলা, পরিবেশ, ইংরেজি, ইতিহাসের মতো বিষয়গুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। স্নাতকে সাধারণ বিভাগেও বহু কলেজেই পড়ুয়ার সংখ্যা অধিক। সেই সব ক্ষেত্রে অফলাইনে দু’দিন, তিন দিন করে ক্লাস ভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কলেজ সাফাইয়ের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি স্নাতকের পড়ুয়াদের টিকার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে।”