ফাইল চিত্র।
পরিবর্তন যাত্রা কর্মসূচি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরসূচি নিয়ে আজ, রবিবার কোচবিহারে উত্তরবঙ্গের চারজেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার ছাড়াও দলের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার পরিবর্তন যাত্রা কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে ওই বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক তথা রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। ওই বৈঠকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) কিশোর বর্মণেরও থাকার কথা রয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বিজেপির পরিবতর্ন যাত্রা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ১১ ফেব্রুয়ারি। কর্মসূচির সূচনা পর্বে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ওই দিন কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে পুজোও দেবেন তিনি। কর্মসূচি উপলক্ষে কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দানে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করার লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে প্রচারের কাজ চলছে। বিজেপির উত্তরবঙ্গ জ়োনের রথপ্রমুখ নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় টানা ২২ দিন ধরে রথযাত্রা হবে। মাঝে শুধুমাত্র সরস্বতী পুজোর দিন রথযাত্রা হচ্ছে না। ওই দিন রাতে ফালাকাটায় রথ রাখা হবে।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, ‘‘ওই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে এ দিন জেলাস্তরেও বৈঠক করা হয়েছে।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার রাসমেলা ময়দান থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে প্রথম দিন পুন্ডিবাড়ি-ঘোকসাডাঙ্গা হয়ে পারাডুবি যাবে। সেখানে রাতে রথ থাকবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নির্বাচনী এলাকা নাটাবাড়ি বিধানসভার ডাউয়াগুড়িতেও পরিবর্তন যাত্রা কর্মসূচিকে সামনে রেখে সভার পরিকল্পনা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি, মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা ভোট পাখি। ভোট এলেই ওঁদের দেখা যায়। আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। আসলে, গোলমাল পাকানোই ওদের লক্ষ্য। বাংলার মানুষ শান্তি, উন্নয়ন চান। তাছাড়া কোচবিহারে একমাত্র মদনমোহন দেব রথে সওয়ার হন। অন্য কেউ তা করলে মানুষই জবাব দেবেন।’’
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রথযাত্রা কর্মসূচির কথা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রশাসনের সবমহলে ওই কর্মসূচির কথা জানান হয়েছে। কর্মসূচির বদল হবে না।’’