আদর্শ গ্রামের শিলান্যাস করতে এসে এলাকার শিশু-মহিলাদের সঙ্গে প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছবি: রাজকুমার মোদক।
বানারহাটের ডুডুমারি বস্তি। ধূপগুড়ি ব্লকের এই গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবারই হত দরিদ্র। বেশিরভাগেরই জীবিকা দিনমজুরি। পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে গ্রামে। এলাকার একটি মাত্র জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও র্দীর্ঘদিন ওই স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। গ্রামে পাকা রাস্তাও নেই বলে অভিযোগ। প্রতি রাতেই ডায়না জঙ্গল থেকে হাতির দল বাড়ি-ঘর ভেঙে দিয়ে যায়। হাতির হামলায় মৃত্যুও গ্রামে রুটিন বলে অভিযোগ। কিছু বাসিন্দার চাষের জমি থাকলেও হাতির তাণ্ডবে কোন ফসলই ঘরে তুলে পারে না বলে অভিযোগ। গ্রামে কাজ না থাকায় ডায়না নদীতে পাথর ভাঙতে বা যেতে হয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দা জলপা সান্তাল, শেখর ছেত্রীরা বলেন,“দিন মজুরিই আমাদের পেশা। জমি থাকলেও হাতির উপদ্রবে জমি চাষ করা ছেড়ে দিয়েছি।’’
আদিবাসী অধ্যুষিত এই ডুডুমারি বস্তিকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার কাজের সূচনা করলেন কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। শনিবার বিকেলে বানারহাট থেকে ছ’কিলোমিটার দূরে ধূপগুড়ি ব্লকের ডুডুমারি বস্তিতে আসেন তিনি। ধামসা মাদল বাজিয়ে আদিবাসী ছেলে মেয়েরা প্রদীপবাবুকে গ্রামে বরণ করেন।
প্রদীপ ভট্টাচার্য সাংসদ কোটার প্রায় ১০ কোটি খরচ করে ডুডুমারি গ্রামের রাস্তা, পানীয় জল, কমিউনিটি হল, কমিউনিটি শৌচালয়, সেচ নালা, কর্মমুখী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ আরও কিছু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন “আমি বিভিন্ন দিক থেকে খোঁজ নিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত ডুডুমারি গ্রামকে আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ প্রাথমিক ভাবে দু’টি কাজের সূচনা করলাম। ধীরে ধীরে সব কাজ করা হবে।