ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে ‘বাংলার আবাস যোজনা’ নাম দিয়ে প্রচারের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআরের হুঁশিয়ারি দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে চাপরেরপাড়ে দলের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সোমবার এই হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও বিধায়কের অভিযোগ মানতে চাননি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অন্য দিকে, আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এ দিন পূর্ব কাঠালবাড়িতে আলিপুরদুয়ার-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
আবাস যোজনায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরেই আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। এ দিন চাপরেরপাড়- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এ নিয়ে একটি মিছিল বের করে গেরুয়া শিবির। মিছিল গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর পর্যন্ত পৌঁছলে, সেখানে শুরু হয় বিক্ষোভ। পাশাপাশি, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দলের তরফে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। দলের এ দিনের এই কর্মসূচিতে ছিলেন বিধায়ক সুমন। বক্তৃতা করার সময় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনের একটি বিশ্রাম ঘরের দেওয়াল লিখন দেখিয়ে বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করেন, প্রকল্পটির নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। অথচ, চাপরেরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের দফতরের উল্টো দিকে বিশ্রাম ঘরের দেওয়ালে ওই প্রকল্পের নাম ‘বাংলার আবাস যোজনা’ লিখে রেখেছেন।
এর পরেই বিধায়ক হুঁশিয়ারি দেন, “আমরা ছয় ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা না হলে, প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করব। আদালতেও যাব।” চাপরেরপাড়- ২গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী রায় অবশ্য বলেন, ‘‘ওই দেওয়াল লিখন গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে লেখা হয়নি। তাই এটা আমরা মুছব না।’’
এরই মধ্যে এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ পূর্ব কাঠালবাড়ির মেজবিলে আলিপুরদুয়ার-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, আবাস যোজনা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য উপভোক্তারা ঘর পাননি। পুলিশ পরে অবরোধ তুলে দেন।