municipal election

রাজনীতির ময়দানে গোলের চ্যালেঞ্জ

সাদামাটা থেকে হয়ে উঠেছেন ‘হেভিওয়েট’। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন পুরপ্রধানের মুখোমুখি সেই ২০১০ সালের আরএসপি প্রার্থী তৃপ্তিই।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা 

পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৪৩
Share:

প্রচারে কার্তিক। নিজস্ব চিত্র।

বল পায়ে দাপিয়েছেন খেলার মাঠ। রাজনৈতিক ময়দানেও বাম জমানায় হারিয়েছিলেন আরএসপির উপ-পুরপ্রধানকেও। এখন চুলে পাক ধরতে শুরু করেছে। সাদামাটা থেকে হয়ে উঠেছেন ‘হেভিওয়েট’। পুরাতন মালদহ পুরসভার মহানন্দা নদীর পাড়ের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন পুরপ্রধানের মুখোমুখি সেই ২০১০ সালের আরএসপি প্রার্থী তৃপ্তি পান্ডেই। মহানন্দা পাড়ে সন্ত্রাসের চোরাস্রোতের পাশাপাশি বয়ছে বিধানসভা ভোটের হাওয়াও। কারণ, বিধানসভা ভোটে ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল বিজেপি। খেলার মাঠের মতো সন্ত্রাসের চোরাস্রোতের অভিযোগ, গেরুয়া হাওয়াকে কাটিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে গোল দেওয়ায় এখন চ্যালেঞ্জ কার্তিকের কাছে।

Advertisement

পুরাতন মালদহ পুরসভার তৃণমূলের অন্যতম মুখ কার্তিক ঘোষ। ২০১০ সালে ৯নম্বর ওয়ার্ডে তৎকালীন পুরসভার উপ-পুরপ্রধান আরএসপির তৃপ্তি পান্ডেকে কংগ্রেসের টিকিটে হারিয়েছিলেন তিনি। গৌড় মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদেও ছিলেন কার্তিক। ফুটবলে খেলার মাঠে মালদহকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরে কোচবিহার, শিলিগুড়ি থেকে একাধিক ট্রফি জেলায় এসেছে। ২০১৫ সালের পুরভোটেও তাঁর হাত ধরেই পুরাতন মালদহ পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। পুরপ্রধানও হন তিনি। এবারও নিজের ওয়ার্ডেই প্রার্থী হয়েছেন কার্তিক।

কার্তিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তৃপ্তি বলেন, “রাতের অন্ধকারে পতাকা, ফেস্টুন ছেঁড়া হচ্ছে। বিরোধীদের প্রচারে নামতে ভয় দেখানো হচ্ছে। এলাকার উন্নয়নের থেকে নিজের উন্নয়নই তিনি বেশি করেছেন।” এরই সঙ্গে রয়েছে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের অঙ্কও। দুই ভোটেই কার্তিকের ওয়ার্ডে ব্যাপক ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। সেই হাওয়া ধরে রাখতে বিজেপি প্রার্থী করেছে এলাকারই যুবক সোমনাথ প্রসাদকে। তিনি বলেন, “ভোটের ফলাফলেই ওয়ার্ডের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” এখানে কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে। কার্তিক বলেন, “পুরপ্রধান হয়ে পানীয় জল পরিষেবা, শহরের সৌন্দর্যায়ণ, মনীষীদের মূর্তি স্থাপন, রাস্তা চওড়া, আলো, নিকাশি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। উন্নয়ন থেকে বিরোধীদেরও অপপ্রচারের কোনও জায়গা নেই।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement