কোচবিহারে কংগ্রেসের রোড-শোতে অধীর চৌধুরী। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
নোট বাতিলকে কেন্দ্র করেই ঝড় উঠল শেষলগ্নের প্রচারে। বুধবার কোচবিহারে দলীয় প্রার্থীদের সর্মথনে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দেন বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী ও তারকারা।
ওই তালিকায় যেমন ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, সাংসদ অভিনেত্রী মুনমুন সেন, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু , তেমনি বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে সামিল হন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীও এ দিন একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন। বাম শিবিরের পালে ঝড় তুলতে শেষলগ্নের প্রচারে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সইরানি।
এ দিন সকাল থেকেই জেলাজুড়ে রোড শো থেকে জনসভা, একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তাঁরা। সব শিবিরের বক্তব্যেই প্রধানত উঠে আসে এক হাজার ও পাঁচশ টাকার নোট বাতিল প্রসঙ্গ। প্রচারের কর্মসূচিতে মাথাভাঙায় যাওয়ার আগে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধায় কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ খুশি। যারা কালো টাকা ঘরে রেখেছে তাদের সমস্যা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ওই টাকা বাঁচাতে দিল্লিতে দরবার করছেন। লক্ষ্য সফল হবে না।”
দিনহাটার নটকোবাড়ি, কোচবিহার সদরের টাকাগছে সভা করেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি মুকুল রায়। মানুষের হয়রানির অভিযোগ নিয়ে সরব হন তিনি। মুকুলবাবু বলেন,“যাদের কালো টাকা আছে তাদের গায়ে হাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই বিজেপির। কারণ ওই টাকাতেই তারা ক্ষমতায় এসেছে। নোট বাতিলের জেরে ভোগান্তি হচ্ছে। বিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও নোট বাতিল নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারকেও বিঁধেছেন তিনি। বামেদের সভাতেও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করা হয়।