প্রতীকী ছবি।
এক দিনের ব্যবধানে জেলায় যুযুধান দুই শিবিরের কর্মসূচি নিয়ে সরগরম কোচবিহারের রাজনৈতিক আবহ। সোমবার জেলায় আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সে দিন তুফানগঞ্জ শহরে মিছিলের পাশাপাশি, সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। শনিবার বিজেপির জেলা দফতরে আয়োজিত বৈঠকে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। অন্য দিকে, মঙ্গলবার কোচবিহার শহরে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। চলছে তার প্রস্তুতিও।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ নিউ কোচবিহার স্টেশনে পৌঁছনোর কথা দলের রাজ্য সভাপতির। দুপুরে তাঁর রওনা হওয়ার কথা তুফানগঞ্জ শহরের উদ্দেশে। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, নিয়োগ দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে মিছিল করা হবে। মিছিলের পুরোভাগে থাকার কথা সুকান্তের। পরে তুফানগঞ্জে একটি সভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তাঁর। বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন,“রাজ্য সভাপতির সফরের ব্যাপারে এ দিন জেলা পার্টি অফিসে আলোচনা হয়। তৃণমূলের সন্ত্রাস, দুর্নীতির প্রতিবাদে তুফানগঞ্জে মিছিল, সভায় তিনি থাকবেন।”
অন্য দিকে, মঙ্গলবার কোচবিহার শহরে রাজ্য ভাগের চক্রান্তের চেষ্টার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করে মিছিল করবে তৃণমূল। দলের দাবি, লক্ষাধিক মানুষ মিছিলে শামিল হবেন। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “জেলায় বিজেপির জন প্রতিনিধিরা মানুষের কোনও কাজ করছেন না। ওদের সাংগঠনিক ভিত দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সে জন্য রাজ্য সভাপতিকে ওরা ডেকে নিয়ে আসছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, অপপ্রচার করে কোনও লাভ হবে না। কোচবিহার শহরে ৬ সেপ্টেম্বরের মহামিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ার হবে।” বিজেপির তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা পাল্টা বলেন, “রাজ্য সভাপতি সব জায়গায় যেতে পারেন। তাঁর উপস্থিতিতে মিছিলে কত লোক আসেন, সে দিন আমরা দেখিয়ে দেব। তৃণমূলের অপপ্রচারে মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছে না।”