জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে শুরু করে তিন কর্মাধ্যক্ষ ও একাধিক সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। গত চার বছরে পঞ্চায়েত সমিতির চার জন সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সদস্যরাও দলে দলে কংগ্রেস ছেড়েছেন। সে কথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা নিচ্ছে জেলা কংগ্রেস।
কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিপর্যয়ের মধ্যেও ত্রিস্তরের যে সমস্ত সদস্যরা এখনও খেটে চলেছেন তাঁদের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবা হবে। কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সাংসদ মৌসম নুর বলেন, ‘‘দল ছেড়ে যেতে পারে এমন কোনও সন্দেহভাজন কর্মীকে এ বার প্রার্থী করা হবে না। দলের প্রতি একেবারে অনুগত, দায়বদ্ধ ও বিশ্বাসযোগ্য এমন কর্মীদেরই বাছাই করে ত্রিস্তরে প্রার্থী করা হবে। জেলা পরিষদের প্রার্থীর ক্ষেত্রে সতর্কতা আরও বেশি থাকবে।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও কয়েক মাস দেরি থাকলেও জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করে ব্লক ভিত্তিক খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে। দল সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়ক-সাংসদরা বিশেষ একটি বৈঠকও করেছেন। সেখানেই টিকিট বিলির প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক হয়।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহে একক ভাবে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের মধ্যে ১৬টি পেয়ে তাঁরা বোর্ডও গড়ে। জেলার ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একক ভাবে ৭টিতে বোর্ড গড়ে। ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্তত ৭০টি তারা দখল করে। কিন্তু গত চার বছরে এই ত্রিস্তরেরই একাধিক সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে শাসকদলে নাম লেখানোয় অনেক বোর্ড তাঁদের হাত ছাড়া হয়। হাত ছাড়া হয় জেলা পরিষদ, ৪টি পঞ্চায়েত সমিতি ও অন্তত ৩০টির মতো গ্রাম পঞ্চায়েত।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘কংগ্রেস এ সব যতই করুক লাভ হবে না। উন্নয়নের স্বার্থে মালদহের মানুষ এবার তৃণমূলের পাশেই থাকবেন।’’