ফের বিয়ে শুরুর আগ মূহূর্তে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ। এ বারও ঘটনাস্থল সেই কালিয়াচক ২ ব্লকের গ্রাম। শনিবারই বেলা ১১টা নাগাদ ব্লকেরই রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জোতমনসা গ্রামে গিয়ে নবম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে রুখেছিল মোথাবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। সোমবার সেই পুলিশই ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাহালা গ্রামে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে আটকানো হল।
এ দিন পুলিশের সঙ্গে বিডিও অফিসের কর্মীরাও ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আব্বাসগঞ্জ হাই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ১৫ বছরের পাত্রীর সঙ্গে এ দিন পাশেরই গ্রাম চাঁদপুরের এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ছিল। সকাল ১০টাতেই পাত্রপক্ষ বরযাত্রী নিয়ে পাত্রীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতিও চলছিল সে সময়। আয়োজন হচ্ছিল ভুরিভোজের। বিয়ে ছিল বেলা ১২টা নাগাদ। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পাত্রীর বাড়িতে মোথাবাড়ির ফাঁড়ির পুলিশ ও বিডিও অফিসের কর্মীরা হাজির হন। তাঁরা পাত্র ও পাত্রী দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দেন। মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয় যে, মেয়ের বয়স ১৮ না হলে কোথাও বিয়ে দেওয়া যাবে না। আগের দিনের মতো এ দিনও পাত্র পক্ষকে খালি হাতে ও ভুরিভোজ না করেই ফিরে যেতে হয়েছে। মোথাবাড়ি ফাঁড়ির ওসি রামপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, ‘‘এ দিন খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে নাবালিকার বিয়ে রোখা গিয়েছে।’’
কালিয়াচক ২ ব্লকের বিডিও অরিজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খবর ঠিকঠাক এলে অনেক আগেই বিয়েটি বন্ধ করা যেত। বাল্য বিয়ে রুখতে প্রচার আরও জোরদার করা হবে।’’