নীরবে নজর সাইকেলে

চোর ধরতেই বাইকে নজরদারি। কিন্তু সেই নজর পড়ার আগেই দুষ্কৃতীরা পগার পার! কারণ? মোটরবাইকের আলো আর শব্দ। তাই এ বার ইসলামপুরের গলিতে সাইকেল নিয়েই টহল দেবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ২০টি সাইকেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ১২:৫০
Share:

চোর ধরতেই বাইকে নজরদারি। কিন্তু সেই নজর পড়ার আগেই দুষ্কৃতীরা পগার পার!

Advertisement

কারণ? মোটরবাইকের আলো আর শব্দ। তাই এ বার ইসলামপুরের গলিতে সাইকেল নিয়েই টহল দেবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ২০টি সাইকেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সাইকেলে করেই পেট্রলিং এ থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘আপাতত নমুনা হিসেবে কিছু সাইকেলের ব্যবস্থা হয়েছে। খুব শীঘ্রই যথাযথ ভাবে সাইকেলে নজরদারি শুরু হবে।’’

ইসলামপুর শহরের এক দিকে বিহার সীমানা। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা। সেই কারণেই এই এলাকায় অপরাধের প্রবণতা অনেক বেশি বলে জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তারাই। রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও চুরি-ছিনতাই রোজকার ঘটনা। অপরাধ করেই বিহারে আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা। সে কারণেই রাতে ইসলামপুর শহরের অলিগলিতে পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, বাইকের আলো চোখে পড়তেই লুকিয়ে পড়ছে অপরাধীরা। অনেক সময় বাইক থাকার কারণেই আগে থেকেই টের পেয়ে পালিয়েও যাচ্ছে। কাজেই বাইক নিয়ে সেই সমস্যা এড়াতে এ বার বাইকের পরিবর্তে সাইকেল পেট্রলিং শুরু হচ্ছে ইসলামপুরে।

Advertisement

সম্প্রতি নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি জোরদার হয়েছিল। কিছুদিন আগেই ইসলামপুর শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভাঙাপুল এলাকাতে এক যুবককে গুলি করে ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে গত ১৫ দিনে ইসলামপুর শহরে দুটি চলন্ত বাইক থেকে হার ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। শহরের এক দোকানের টিনের চাল সরিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তার জেরেই পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি ওঠে।

পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামপুর শহরের প্রতিটি এলাকাতে পুলিশি টহলদারি অনেক বাড়ানো হয়েছে। এমনকী, শহরের প্রতিটি এলাকাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, রাতে সাইকেলে পেট্রলিং হলে এক জন অনেক বেশি এলাকা নজর রাখতে পারবেন। আওয়াজ পেয়ে চোরেদের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাছাড়া পেট্রলও অনেকটাই সাশ্রয় হবে। ইসলামপুর থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘শহরে আরো বেশি করে নজরদারি বাড়ানো যাবে।’’ দুষ্কৃতীরা যদি মোটরবাইক নিয়ে আসে তাহলে কি সাইকেলে তাদের ধাওয়া করে ধরা সম্ভব হবে, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement