কান ধরে ওঠবসের বিরুদ্ধ সরব পুলিশকর্মীর স্ত্রী

গত ১৫ নভেম্বর প্রিয়াদেবী অভিযোগে জানান, এসিপি পশ্চিম বিদিতরাজ ভুন্দেশ তাঁর স্বামী সজলবাবুকে ডেকে আরও দুই সহকর্মীর সঙ্গে কানধরে ওঠবস করানোর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সজল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র

পুলিশ কমিশনারেটে তিন পুলিশকর্মীকে ডেকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ আগেই উঠেছিল। কিন্তু সেই অভিযোগের কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি করলেন ঘটনায় আহত সহকারি সাব ইনস্পেক্টর সজল দত্তের স্ত্রী প্রিয়াদেবী। সোমবার রাজ্যের পর্যটমন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিভাগীয় তদন্তের নামে এসিপি (পশ্চিম) বিদিতরাজ ভুন্দেশ ওই তিনজনকে পুলিশ বিধির বাইরে সাজা দেওয়ার ফলে লিগামেন্ট ছিঁড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

গত ১৫ নভেম্বর প্রিয়াদেবী অভিযোগে জানান, এসিপি পশ্চিম বিদিতরাজ ভুন্দেশ তাঁর স্বামী সজলবাবুকে ডেকে আরও দুই সহকর্মীর সঙ্গে কানধরে ওঠবস করানোর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সজল। এসিপি অভিযোগ তোলেন, ওই তিন পুলিশকর্মী মাটিগাড়া এলাকায় গত ৭ নভেম্বর রাতের ডিউটিতে থাকাকালীন টাকা তুলছিলেন। যদিও তা অস্বীকার করেছেন ওই পুলিশকর্মীর স্ত্রী। শহরের একটি বড় নার্সিংহোমে প্রায় সাড়ে পাঁচঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর সোমবারই ছাড়া পেয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। তাঁর স্ত্রী প্রিয়া বলেন, ‘‘দু’সপ্তাহ হয়ে গেল এরকম একটা অমানবিক ঘটনায় কোনও সাড়া পেলাম না। উল্টে এখন দাবি করা হচ্ছে, আমার স্বামীই দোষী। পুলিশের নিয়ম বড় কর্তাদের জন্য নেই। এসব নিয়েই তাই মন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছি।’’

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অথর্ব্য ত্রিপুরারি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। এদিন মহিলা এসেছিলেন। খতিয়ে দেখছি।’’ এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কোনও কর্তাই কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement