বসে রয়েছেন উদ্ধার হওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। নিজস্ব চিত্র
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের অপহৃত ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে উদ্ধার করল পুলিশ। বিহারের কাটিহার যাওয়ার পথে তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের দৌলতনগর। ওই পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নজিবুর রহমান এবং হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবির স্বামী আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই দুই সদস্যকে উদ্ধার করে। গভীর রাতে বাকি ৯ জনকে বিহারে নিয়ে যাওয়ার পথে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে।
দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন। তৃণমূলের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নজিবুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন ১২ জন তৃণমূল সদস্য। মঙ্গলবার ওই ১২ জন সদস্যের সই যাচাই করার কথা ছিল। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম গোলমাল বাধে। অভিযোগ, আশরাফুল এবং নজিবুরের লোকজন বিডিও অফিস থেকে ১১ জন সদস্যকে অপহরণ করে। এ নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত নামে পুলিশ। ধৃতদের তিন জনকে বুধবার চাঁচল আদালতে তোলা হয়।
বিজেপি-র অবশ্য অভিযোগ, তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ আসল অপরাধীদের আড়াল করছে। যদিও আইন আইনের পথে চলবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। জুবেদার স্বামী, এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আশরাফুল অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।