কালিয়াচকে বিস্ফোরণে জখম পাঁচ শিশু। —নিজস্ব চিত্র।
বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু জখম হওয়ার ঘটনায় মালদহের কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জের গোপালনগর থেকে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গ্রামে বোমা মজুত করার অভিযোগ। সোমবার ঘটনাস্থলে যায় বম্ব স্কোয়াড এবং ফরেন্সিক দলও। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার জমিতে ওই বিস্ফোরণ হয় রবিবার। কারা ওই জমিতে বোমা মজুত করে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা প্রত্যেকেই গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের নাম ইমাজউদ্দিন মিঞা, ইলিয়াস আলি মাসিদুল হক এবং জাসমাত মিঞা। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও কিছু বোমা উদ্ধার করে বম্ব স্কোয়াড। পাশাপাশি ফরেন্সিক দলও নমুনা সংগ্রহ করেছে। ওই এলাকা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। বাংলাদেশ থেকে বোমা নিয়ে আসা হচ্ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শরিফ শেখের বাড়ির পাশেই খেলা করছিল কয়েক জন শিশু। তার পর আচমকাই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরে পাঁচ শিশু জখম হয়। ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে শরিফের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের সভাপতি তোবারক হোসেন বলেন, ‘‘গোপালনগর গ্রামে একটি বিস্ফোরণে কয়েক জন শিশু আহত হয়েছে। কে বা কারা বোমা রেখেছে তা পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দেখুক। যারা বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল তাদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। দোষীরা শাসকদলের হলেও আইন আইনের পথেই চলবে।’’
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে বিজেপি। দলের দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ যা বলছেন, তাতে এটা প্রমাণিত যে, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক।’’
কালিয়াচকের এই ঘটনা নিয়ে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।