জয়গাঁয় নজরদারিতে পুলিশের সফটওয়্যার

আয়তনে খুব বেশি বড় না হলেও, উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বাণিজ্য শহর হিসাবেই পরিচিত আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। যত দিন বাড়ছে ততই বাণিজ্যের দিক থেকে এগিয়ে চলছে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জয়গাঁয় মানুষের যাতায়াত লেগেই রয়েছে।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী 

জয়গাঁ শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

সতর্কতা: এই রকম পেজে লগ ইন করতে হবে এ বার থেকে জয়গাঁর হোটেলে। নিজস্ব চিত্র

ভুটান সীমান্ত লাগোয়া জয়গাঁর বিভিন্ন হোটেলে নজরদারি বাড়াতে এক ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করবে পুলিশ। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে থানায় বসেই হোটেলে আসা আবাসিকদের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর-সহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন পুলিশকর্মীরা। সূত্রের খবর, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই জয়গাঁর প্রতিটি হোটেলে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি হোটেলে তা চালু হয়েছে।

Advertisement

আয়তনে খুব বেশি বড় না হলেও, উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বাণিজ্য শহর হিসাবেই পরিচিত আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। যত দিন বাড়ছে ততই বাণিজ্যের দিক থেকে এগিয়ে চলছে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জয়গাঁয় মানুষের যাতায়াত লেগেই রয়েছে। এই অবস্থায় জয়গাঁর আন্তর্জাতিক সীমান্তকে কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে চোরাচালান বা অন্য কোনও অপরাধমূলক কাজ করতে না পারে, সে জন্য বাইরে থেকে আসা মানুষদের পরিচয় আরও সঠিকভাবে জানতে চাইছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, সে জন্যই হোটেলগুলিতে নয়া সফটওয়্যারের সাহায্যে নজরদারি শুরু করতে চলেছে জয়গাঁ থানা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, জয়গাঁয় ৩১টি হোটেল রয়েছে। এই মুহূর্তে প্রতিদিন ওই হোটেলগুলিতে আসা আবাসিকদের নাম, পরিচয় ও ফোন নম্বর খাতায়-কলমে লিপিবদ্ধ করা হয়। দিনের শেষে সেই তালিকা থানায় পাঠিয়ে দিতে হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, কিন্তু নয়া ব্যবস্থায় হোটেলগুলির কম্পিউটার বা মোবাইলে একটি সফটওয়্যার ‘ইনস্টল’ করা হবে। হোটেলে আসা আবাসিকদের নাম, ঠিকানা, ছবি, পরিচয়পত্র ও ফোন নম্বর তাতে ‘আপলোড’ করতেই আবাসিকের মোবাইল ফোনে একটি ওটিপি যাবে। সেই নম্বর সফটওয়্যারে দিলে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত অনেকেই হোটেল কর্মীদের ভুল ফোন নম্বর দেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওটিপি-র বিষয় থাকায় আবাসিকরা তাদের কাছে থাকা ফোনের নম্বর দিতে বাধ্য হবেন।’’

জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরীক্ষামূলকভাবে বৃহস্পতিবার থেকে জয়গাঁর কয়েকটি হোটেলে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এলাকার বাকি হোটেলেও তা চালু হবে। এবং আগামীদিনে জয়গাঁ পুলিশ মহকুমার অন্যান্য থানা এলাকাতেও এই ব্যবস্থা হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

পুলিশ জানিয়েছে, নতুন এই ব্যবস্থায় প্রতিটি হোটেলে একটি করে সফটওয়্যার ইনস্টলের পাশাপাশি জয়গাঁ থানাতেও বিশেষ একটি সফটওয়্যার থাকবে। যার সাহায্যে হোটেলের সফটওয়্যারে কখন, কী আপলোড হচ্ছে— তা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন পুলিশকর্মীরা। যার ফলে আবাসিকদের সম্বন্ধে বিস্তারিত রিপোর্টও তৎক্ষণাৎ তাদের হাতে চলে আসবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement