প্রতীকী ছবি
বাসস্ট্যান্ডের ট্র্যাফিক মোড়। নজরদারিতে প্রচুর পুলিশ। এক পথচারীকে আটকে প্রেসক্রিপশন দেখার সময় জিজ্ঞাসা করতেই জবাব, ‘‘করোনার ওষুধ কিনতে যাচ্ছি।’’ শুনেই ছিটকে গেলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ছোট গাড়ি স্টার্ট দিয়ে জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে ওই ব্যক্তি বলে গেলেন— তিনি নন। তাঁর ভাই করোনা পজ়িটিভ।
থানা মোড়। স্কুটি চালক এক মহিলাকে আটকাতেই জবাব মিলল, তৃণমূলের এক জেলা নেতার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। পথ থেকে সরে পুলিশকর্মীরা বললেন— ‘‘যান, যান।’’
বালুরঘাট শহরের চকভবানী পুরবাজার এলাকা। মাস্ক না পরে এক যুবক আলু কিনতে রাস্তায় নেমেই খেলেন পুলিশের তাড়া। হাতে ব্যাগ গুটিয়ে বাড়ির পথে দে ছুট। তাঁকে ধরতে তাড়া করলেন এক সিভিককর্মী।
এমন কিছু খণ্ডচিত্রের মধ্যেই শনিবার পূর্ণ লকডাউন সফল হল দক্ষিণ দিনাজপুরে। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া ঘর ছেড়ে কেউ বার হননি। সুনসান রাস্তায় বেরিয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ গোটা জেলা থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। এ দিন জেলা পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য পদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা লকডাউন সফল করতে বালুরঘাটের রাস্তায় নামেন।
অন্য দিন পুলিশের তরফে এমন তৎপরতা থাকে না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসীর একাংশ। তাঁদের দাবি, রবিবার ফের রাস্তাঘাট, বাজারে ভিড় করবেন অনেকে। তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বাড়বে।
জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত অবশ্য জানান, পূর্ণ লকডাউনের দিন ছাড়া অন্য দিনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুদি, মিষ্টি, রুটির দোকান ও আনাজ বাজার খোলা থাকে। ১২টার পরে লকডাউন শুরু হতেই রাস্তাও বাজারে নেমে পদক্ষেপ করা হয়। তিনি আরও জানান, গত দু’দিনে বালুরঘাটে বিধিভঙ্গের অভিযোগে একাধিক বাসিন্দা ও টোটোচালকের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু
করা হয়েছে।