—ফাইল ছবি
দীপাবলির মুখে এখনও উত্তর দিনাজপুর জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার রুখতে পুলিশ অভিযান নামেনি বলে অভিযোগ। এই সুযোগে ব্যবসায়ীদের একাংশ গোপনে নিষিদ্ধ শব্দবাজির মজুত ও কারবার শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। এদিকে, এবছরও দীপাবলিতে রায়গঞ্জ শহরে অস্থায়ী আতসবাজি বাজার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ সক্রিয় না হলে শুধু আতসবাজি বাজার চালু করে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করা সম্ভব নয়।
রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর পুলিশ জেলার দুই সুপার সুমিত কুমার ও সচিন মক্করের অবশ্য দাবি, গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে জেলার দশটি থানার বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার রুখতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়নি। বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, দীপাবলির আর দু’দিন বাকি থাকলেও জেলার দশটি থানা এলাকায় এখনও পর্যন্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার রুখতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়নি। ফলে গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে জেলা জুড়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ গোপনে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার শুরু করেছেন। অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের একাংশ দশটি থানার বিভিন্ন এলাকার বাজারে স্টেশনারি ও দশকর্মার ব্যবসার আড়ালে চকলেট বোম, লঙ্কা বোম, দোদমার মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা গোপন ডেরা থেকে সেগুলি এনে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। রায়গঞ্জের মোহনবাটী বাজার, মোহনবাটী, নিউ মার্কেট, স্কুল রোড, সুদর্শনপুর, বন্দর, কলেজপাড়া, দেবীনগর, সুভাষগঞ্জ, চণ্ডীতলা ছাড়াও একাধিক এলাকায় দীপাবলির প্রদীপ, মোমবাতি ও বৈদ্যুতিন আলোর আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে।
রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা পরিবেশপ্রেমী কৌশিক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘প্রতিবছরের মতো এবছরও দীপাবলির মুখে বিহার ও কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীদের একাংশ জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করেছেন। পুলিশের কোনও অভিযান চোখে পড়েনি। এবছরও শব্দবাজির ধোঁয়া ও শব্দে পরিবেশ দূষণের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছবে।’’
রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাসের বক্তব্য, রায়গঞ্জ শহরে নিষিদ্ধ শব্দবাজিতে এবছরও পুরসভার উদ্যোগে শহরের করোনেশন হাইস্কুলের মাঠে কাল, শুক্রবার থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ী আতসবাজি বাজার চালু রাখা হবে। ওই বাজারের বাইরে শহরের ব্যবসায়ীদের কোনও ধরনের বাজি বিক্রি না করার জন্য পুরসভার তরফে অনুরোধ করা হয়েছে।
শহরের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক ভীমনারায়ণ মিত্র বলেন, ‘‘পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু না করলে শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করা সম্ভব নয়।’’