গণধর্ষণ হয়েছিল মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ
গণধর্ষণ হয়েছিল মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ। বুধবার ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তার পরের চার দিনেও পুলিশ কোনও অভিযুক্তকে ধরতে পারল না। বালিয়া নবাবগঞ্জ গুজরঘাটের এই গণধর্ষণকাণ্ডে তাই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ কি চাপে পড়ে তদন্তে ঢিলে দিয়েছে? স্থানীয় লোকজনেরাই এই অভিযোগ তুলে বলছেন, শনিবার এক জনকে গ্রেফতার করা এবং তার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বয়ান বদলে তাঁকে ফের ছেড়ে দেওয়ার মধ্যেও যেন সেই ইঙ্গিত রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ধামাচাপার কোনও বিষয় নেই। বিভিন্ন সূত্রে অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’’
কিন্তু প্রশ্নগুলি থেকেই গিয়েছে। বিশেষ করে অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ারের সন্ধান প্রথম থেকেই করা হয়নি কেন এবং কেন শুধু অভিযুক্তদের বাড়ি ঘুরেই কাটিয়ে দিল পুলিশ, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয় দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল আলম, নওশাদ আলি, কাকা কাইয়ুম শেখরা বলেন, ‘‘নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে আমরা রোজ থানায় গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু পুলিশ কান দেয়নি।’’ তাঁদের প্রশ্ন, এই ঘটনায় পুলিশের উপর কি কারও চাপ রয়েছে?
এ দিকে, শনিবার গুজরঘাটে গিয়ে জানা গেল, ঘটনার সময়ে সেখানে আরও চার কিশোর ছিল। ওই চার জন পুরাতন মালদহে চারু শেঠের মেলা দেখে ফেরার নৌকা ধরতে ঘাটে এসেছিল। তাদের এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন এএসপি। কিশোরদের অভিযোগ, সে রাতে নির্যাতিতার স্বামীর সঙ্গে তাদেরও মেরে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
ওই রাতে ঘাটে বধূকে যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি চিৎকার করেছিলেন। স্থানীয় এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, "ঘাটে রোজই মদ, জুয়ার আসর বসে। সে দিনও চিৎকার শুনে মনে হয়েছিল, এমনই কোনও আসরে গোলমাল হচ্ছে।’’