রণক্ষেত্র: পরীক্ষার্থীদের পথ অবরোধ তুলতে হোসেনপুরে লাঠিচার্জ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ তুলতে পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল। রবিবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের হোসেনপুর এলাকায় বিএড কলেজের সামনে, হিলি-বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। তবে লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার ধীমান মিত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবগারি দফতরের পরীক্ষায় বসতে না পেরে প্রতিবাদে এক দল পরীক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করেন। বালুরঘাট বিএড কলেজের সামনের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিন আবগারি দফতরের কনস্টেবল পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। বালুরঘাট থানার অন্তর্গত ১৭টি স্কুল ও শিক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা হয়। তার ‘রিপোর্টিং টাইম’ ছিল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
অভিযোগ, ওই সময়ের মধ্যে বালুরঘাট বিএড কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি লাইনে দাঁড়ানো অনেক চাকরিপ্রার্থী তরুণ। অভিযোগ, সময় পেরিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে প্রায় ৬০ জন ওই কলেজের সামনে বালুরঘাট-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। আধঘন্টা বিক্ষোভ চলতে থাকে।
অভিযোগ, এর পরেই পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হন কয়েক জন পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, এক চিত্রসাংবাদিকও লাঠির আঘাতে জখম হন। এর পরেই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাধব সরকার, মানিক সরকার এবং দীপক সরকার জানান, তাঁরা মালদহ, কুমারগঞ্জ এবং তপনের মতো দূরের এলাকা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের লাইনেও দাঁড়ান। সময়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রের ভিতরে ঢোকানোর জন্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। অভিযোগ, পরীক্ষার শুরুর অনেক আগে আচমকা গেট আটকে দেওয়া হয়। বলা হয় আর কেউ ঢুকতে পারবেন না। ওই পরিস্থিতির জন্য গেটে মোতায়েন পুলিশই দায়ী— বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বলে ওই পরীক্ষার্থীদের দাবি। অভিযোগ, আচমকা পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠিচার্জ করে। পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের জন্য ফের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডেপুটি পুলিশ সুপার ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের পরে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক জন জাতীয় সড়ক আটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলেন। তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। লাঠিচার্জ করা হয়নি।’’