মধ্যরাতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির দিনবাজারে ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ। ছবি: সন্দীপ পাল।
গভীর রাতে জলপাইগুড়ি শহরে দিনবাজার সেতুর কাছে সাদা রঙের দামি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থমকে যায় পুলিশের টহলদারি ভ্যান। গাড়ির কাছে দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে জেরা শুরু করতেই পুলিশের দিকে ছুটে আসে গুলি।
পুলিশ কিছু বোঝার আগেই সেতু লাগোয়া এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে তিন-চার জন ছুটে এসে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করে। পুলিশের হাত থেকে সঙ্গীকে বাঁচাতে দুষ্কৃতীরা আরও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। ওই সময় পুলিশের কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না বলে সূত্রের দাবি। দুষ্কৃতীদের আটকাতে পুলিশের গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা অন্য গাড়িটিতে ধাক্কা মারে। পুলিশের দাবি, গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী দলটি। বুধবার গভীর রাতে ব্যবসায়িক কেন্দ্র দিনবাজারে এমনিই ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের দাবি, এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করার মতলবে দুষ্কৃতী দলটি এসেছিল। ব্যবসায়ীর বাড়ির দরজার তালা ভাঙার সময়েই পুলিশের টহলদারি ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, “ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। আমরা দলটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।” ডাকাত দলটি পড়শি রাজ্যের বলেও প্রাথমিক সূত্রের খবর। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, দিনবাজার সেতু লাগোয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির মতলবে দুষ্কৃতী দলটি এসেছিল। সেতুতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এক জন দুষ্কৃতী গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আশপাশে নজরদারি চালাচ্ছিল। তখনই টহলদারি পুলিশের ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা দুষ্কৃতীকে জেরায় সন্দেহ হতেই তাকে ধরে।
পুলিশের দাবি, তাদের গাড়ির ধাক্কায় ডাকাতদলের গাড়ির সামনের অংশ ভেঙে যায়। তার ফলে গাড়িটির ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না। যদিও কিছু পরে গাড়িটি চালু হয়। পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে তিন পুলিশকর্মীর চোট লেগেছে বলে খবর। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির নীচের তলায় চার শ্রমিক থাকতেন। তাঁরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ তাঁদের আটক করে জেরা করছে।