ছবি: সংগৃহীত।
আজ, সোমবার হেমতাবাদের প্রয়াত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (দেবেন) বাড়িতে যাওয়ার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। দিলীপের সঙ্গে দেবেনের বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু ও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারেরও। দেবেনের বাড়ি হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিন্দোল পঞ্চায়েতের বালিয়া এলাকায়। ওই এলাকাটি রায়গঞ্জ থানা ও ব্লকের অধীনে রয়েছে। দেবেনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে দিলীপের বালিয়াদিঘি মোড় এলাকায় দেবেনের মূর্তির বসানোর কাজের সূচনা করারও কথা রয়েছে। গত ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ওই এলাকা থেকেই দেবেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দিলীপের ওই কর্মসূচির আগে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতাদের একাংশকে থানায় ডেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের অবশ্য দাবি, বর্তমানে আনলক পর্ব চলছে। লকডাউন পুরোপুরি ওঠেনি। এই পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি বা জমায়েত নিষিদ্ধ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই অবস্থায় এ দিন দেবেনের বাড়ি যাওয়ার পথে দিলীপ সহ বিজেপির নেতাদের আটকানো হতে পারে। ভিড় এড়াতে মূর্তির কাজের সূচনার অনুষ্ঠানও আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। তা হলে পাল্টা আন্দোলনের হুমকি দিয়েছ বিজেপি। ফলে সব মিলিয়ে এ দিন রায়গঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিজেপির গোলমালের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপম সিংহ বলেন, “পুলিশের ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে এখনও রাজনৈতিক কর্মসূচী বা জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে। সোমবার জেলার কোথাও প্রকাশ্যে কোনও কর্মসূচী বা ভিড় হলে পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ করবে।”
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, ‘‘বালিয়ামোড়ে যাতে দেবেনবাবুর মূর্তি বসানোর কাজ শুরু না করার জন্য শনি ও রবিবার পুলিশ বিজেপির বেশ কয়েক জন জেলা নেতাকে থানায় ডেকে হুমকি দিয়েছে। লকডাউন বিধির যুক্তি দেখিয়ে আসলে তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ সোমবার দিলীপবাবু সহ বিজেপির নেতা ও কর্মীদের বাধা দেওয়ার ছক করেছে।’’ তিনি বলেন, “দিলীপবাবুর নেতৃত্বে এদিন সকালে রায়গঞ্জ থেকে দলীয় নেতা ও কর্মীরা মোটরবাইক ও গাড়িতে চেপে দেবেনবাবুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন। রাস্তায় পুলিশ বাধা দিলে ঘটনাস্থলেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য পথ অবরোধ করা হবে।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “দেবেনবাবুর মৃত্যু নিয়ে বিজেপি গোড়া থেকেই রাজনীতি করে জেলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।”