৩০ হাজার অগ্রিম নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা

দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে মুল দুষ্কৃতীদের এক জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০৬:১৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

মাথা ঠান্ডা রেখে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল মাসখানেক ধরে। চেনা দুষ্কৃতীকে দিয়েই কাজ করানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের শনাক্ত করা গেলেও এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।

Advertisement

বুধবার ইসলামপুর শহরের একটি রাস্তায় ভরদুপুরে গুলি চালানো হয় এক তরুণীকে লক্ষ করে। নাইন এমএম পিস্তল থেকে পরপর তিনটি গুলি ছোড়া হয়। তবে তার একটিও কারও গায়ে লাগেনি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এক ব্যবসায়ী কুশল দাসকে গ্রেফতার করেছে। কুশলের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায় বলে দু’পক্ষেরই দাবি। তার পরেই ওই তরুণীকে পথ থেকে সরাতে তাঁকে খুনের মতলব করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। কুশলের সঙ্গে তাঁর এক সহকারী সঞ্জয় সাঁতরাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, সঞ্জয়ই জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছে যে, তাঁরাই ওই তরুণীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে মুল দুষ্কৃতীদের এক জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ, শনিবার তাকে ইসলামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতে তোলা হবে বলেই পুলিশ জানিয়েছে। ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনায় আরও এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।’’

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়িক সূত্রেই চোপড়ার এক দুষ্কৃতী আমিনুলের সম্পর্ক ছিল। কুশলের ল্যাবোরেটরিতে প্রায়ই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কমিশনের ভিত্তিতে রোগী নিয়ে আসত আমিনুল। পুলিশ জানিয়েছে, আমিনুল যে দুষ্কৃতী, তা ভাল করেই জানতেন কুশল। তাই খুনের পরিকল্পনা করার পরে আমিনুলকেও দলে টেনে নেওয়া হয় বলে পুলিশের দাবি। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, আমিনুলও এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাজি হয়ে যায়। সেই খবর দেয়, গুলি চালানোয় দক্ষ দুষ্কৃতী রয়েছে চোপড়ায়। সেই কারণে প্রথমেই ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে নিয়েছিল সে। বাকি টাকা পাওয়ার কথা ছিল কাজ হওয়ার পরে। সঞ্জয় এই সব কাজেই সহায়তা করেছিল।

তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ঘটনার দিন বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী নিয়ে এসেছিল ইসলামপুরে। বাড়ির গলি থেকে ওই যুবতী বের হতেই সঞ্জয়ই তাকে চিনিয়ে দেয় আমিনুলকে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা তাদের পিছনে ছিল। চৌরঙ্গী মোড় এলাকা থেকে মোটরবাইকে করে ওই তরুণী ও তাঁর ভাইকে তাড়া করে দুই দুষ্কৃতী।

তবে এ দিনও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করছে কুশল। তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এ রকম ঘটনায় জড়াতে যাব কেন।’’ তবে তাঁর দাবি, আমিনুল ব্যবসায়িক সূত্রেই পরিচিত। আমিনুল ছোট গাড়ি চালান, এইটুকুই কেবল জানতেন বলে দাবি কুশলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement