(বাঁ দিক থেকে) জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার, পিন্টু শেখ এবং রকি শেখ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ট্যাব কেনার জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া পড়ুয়াদের টাকা হাতানোর অভিযোগে এ বার আরও চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। এর আগে মালদহ থেকেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর থেকে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে ট্যাব কেনার জন্য একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেয়। সেই টাকা সরাসরি ঢোকে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ, ৩০০-র বেশি পড়ুয়ার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। কোথাও কোথাও আবার অভিযোগ, এক জনের টাকা চলে গিয়েছে অন্য জনের অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়াও, ‘হ্যাক’ করে ট্যাবের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা হাতানোর অভিযোগে নতুন যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। ধৃতেরা হলেন রকি শেখ, পিন্টু শেখ, শ্রবণ সরকার এবং জামাল শেখ। তাঁদের মধ্যে রকি এবং পিন্টু চকসেহেরদী গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা কৃষ্ণপুর এলাকায় থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সকলেরই সাইবার ক্যাফে আছে। সেই সাইবার ক্যাফেতে বসেই প্রতারণা চক্র চালাতেন তাঁরা।
মঙ্গলবার রাতে চার অভিযুক্তকে আটক করে বৈষ্ণবনগর থানায় নিয়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ, ডায়েরি, ব্যাঙ্কের নথি। পুলিশ সূত্রে খবর, আরও অনেকে এই ট্যাব কেলেঙ্কারি চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই বৈষ্ণবনগর থেকেই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের নাম হাসেম আলি। স্থানীয় ওই যুবকের একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে। এ ছাড়াও উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে ধরা পড়েছিলেন আশারুল হোসেন। তিনি রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। অপর দুই ধৃতের নাম সাদিক হোসেন ও মোবারক হোসেন। তাঁরা দু’জনেই চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা।