Child Marriage

Child Marriage: ১৪ বছরের কিশোরীর সঙ্গে ২৮ বছরের যুবকের বিয়ের আয়োজন, খবর পেয়ে রুখল পুলিশ

শনিবার বিয়ের লগ্ন ছিল। অভিযোগ, ওই রাতেই ভবানীপুরের এক অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেছিল তার পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২২
Share:

নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। —নিজস্ব চিত্র।

নাবালিকার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান শেষ। বাড়িতে উপস্থিত পাত্রপক্ষের কয়েক জন। রয়েছেন অন্যান্য আত্মীয়স্বজনও। তাঁদের জন্য মহাভোজের আয়োজনও প্রায় শেষ। সব মিলিয়ে বিয়ের আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ। ঠিক এমন সময়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিলেন পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে। নাবালিকার বয়স ১৪। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিগুণ বয়স অর্থাৎ ২৮ বছরের এক যুবকের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
শনিবার বিয়ের লগ্ন ছিল। অভিযোগ, ওই রাতেই ভবানীপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেছিল তার পরিবার। পাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাসিন্দা। ঠিক সেই সময়েই চাইল্ড লাইনের কর্মীরা এবং চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিয়ের আসরে পুলিশ দেখে তত ক্ষণে চম্পট দেন অনেকেই। তবে সেখান থেকে বরের জামাইবাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সমীর রায় নামে চাইল্ড লাইনের এক সদস্য জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়, এর আগেও ওই নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর দাবি, মেয়ের বয়স আধার কার্ড অনুযায়ী ১৪ বছর। সমীরের কথায়, ‘‘সেই সময় আমরা থানায় বিষয়টি জানিয়ে একটি জেনারেল ডায়েরি করি। অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার বাড়িতে গিয়ে বোঝাই। সেই সময় মেয়ের বাবা মুচলেকা দিয়ে আমাদের জানান, প্রাপ্তবয়স্ক না হলে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। কিন্তু গত কাল ফের আমরা জানতে পারি, মেয়েটির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আমরা ফের সেখানে যাই। বিয়ে বন্ধ করার কথা বলে আসি। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ফের জানতে পারি, মেয়ের পরিবার এই বিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। রবিবার সকালে আমি এ নিয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেছি।’’ মেয়ের বিয়ের কিছু অনুষ্ঠানের ভিডিয়োও তাঁদের কাছে আছে বলে দাবি করেছেন চাইল্ড লাইনের ওই সদস্য।

পুলিশি অভিযানের পর নাবালিকার পরিবারের সকলেই পলাতক। মেয়ের দিদিমা বাসন্তী ঘোষের বক্তব্য, ‘‘নিমন্ত্রণ পেয়ে আমরা বিয়ের ভোজ খেতে গিয়েছিলাম। ১৪ বছরের মেয়ের কেন বিয়ে দিচ্ছিল, তা ওর বাবা-মা বলতে পারবে। গত কাল নাতনির বিয়ে ছিল। ওর বাবা পাগল। তাই অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম, এত ছোট বয়সে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement