Murder

Illegal Weapons: বেআইনি অস্ত্রের দাপটে উৎসবের আগে আতঙ্ক

এক সময়ে রায়গঞ্জে কিছু দিন অন্তর গুলি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটলেও গত কয়েক বছর ধরে তেমন অভিযোগ ওঠেনি বলে বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২২
Share:

সেই গলিপথ: এখানেই দেবীদের উপরে গুল চালায় তিন দুষ্কৃতী।

সপ্তাহ দু’য়েক আগে ইসলামপুরের গোবিন্দপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন প্রকাশ্যেই একে অপরকে লক্ষ করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এ বারে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু হল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। সোমবার রাতে, দেবীনগরের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দেবী সান্যালের (৩৭)। জখম দেবীর দাদা সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার ও বোন রূপা অধিকারীও। ওই ঘটনার পর, রায়গঞ্জ-সহ জেলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা নিয়ে অভিযোগ তুলে পুলিশের ভূমিকায় সরব হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম।

Advertisement

পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছি, পুজোর আগে যেন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এমন গোলমাল যেন না হয়।’’

এক সময়ে রায়গঞ্জে কিছু দিন অন্তর গুলি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটলেও গত কয়েক বছর ধরে তেমন অভিযোগ ওঠেনি বলে বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন। তবে, সোমবারের ঘটনায় তাঁরাও আতঙ্কিত। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।” একই ভাবে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল। তাঁদের দাবি, এর পিছনে তৃণমূল নেতাদের ইন্ধনও আছে।

Advertisement

রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরশ বর্মা বলেন, ‘‘জেলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের রমরমার নির্দিষ্ট অভিযোগ পুলিশের কাছে নেই। পুলিশ সবসময়ই অভিযান জারি রেখেছে।’’ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, "দল বেআইনি কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করে না। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার-সহ জেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সবসময়ই সক্রিয় রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement