রাস্তায় পড়ে থাকা এক তরুণীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। দার্জিলিং পাহাড়ের বিজনবাড়ি থানা এলাকার ঘটনা। গোড়ালি ও কোমরের নীচে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ওই তরুণী বর্তমানে বিজনবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ১২ জুন বিজনবাড়িতে রাস্তার ধারে তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন বাসিন্দা পুলিশকে খবর দেন। মহিলা পুলিশ তরুণীকে তুলে নিয়ে থানায় য়ায়। সেখান থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার তরুণীর শরীরের গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে এলাকার কয়েকজন জানতে পারেন। তাঁদের দাবি, তরুণীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি থানার ওসি মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়েই জেলা পুলিশের ডিএসপিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিজনবাড়ির ওসি অবশ্য জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন, একজন অসুস্থ মহিলাকে উদ্ধার করতে গিয়ে এমন বিতর্কে পড়তে হবে তা তাঁরা ভাবতেও পারছেন না।
প্রাথমিক ভাবে তরুণী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সিকিমে বাড়ির ঠিকানাও দিয়েছেন। কিন্তু, ওই ঠিকানায় দার্জিলিং পুলিশ য়োগাযোগ করলে তরুণী তাঁদের কেউ নন বলে সেখানকার পরিবারটি দাবি করেছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘তরুণীটি পুরোপুরি সুস্থ নন। ওঁর কথাবার্তা একেবারেই অসংলগ্ন। উনি যে ঠিকানা দিচ্ছেন সেখানে কেউ ওঁকে চিনতে পারছেন না। এমনকী, তরুণী যাঁকে বাবা বলে দাবি করছেন, সিকিমের সেই ভদ্রলোক তরুণীকে চেনেন না বলে দাবি করছেন। আমরা সবই খতিয়ে দেখছি।’’