প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে সে কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু পরিবার। এই ঝড়ে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
মোদী আরও লেখেন, “রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করতে বলেছি।” তাঁর সংযোজন, “আমি বাংলার সকল বিজেপি কর্মীকে অনুরোধ করব এই বির্পযয়ের সময় তাঁরা যেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেন এবং তাঁদের পাশে থাকেন।”
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান ও ধূপগুড়ির। অনেকেই আহত। ঘরদোর লন্ডভন্ড হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু।
রবিবার রাতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঝড়ে আহতদের দেখতে রাতেই তিনি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল হাসপাতালে যাচ্ছেন। রবিবার রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে মমতা জানান, ঝড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাশে আছে। এখন যে হেতু এমসিসি (আদর্শ আচরণবিধি) চলছে, তাই প্রশাসন যা করার করবে। একটা বাচ্চাকে নেওটিয়া হাসপাতালে আনা হচ্ছে, ওটা কাল বিকেলে অভিষেক এসে দেখে নেবে। প্রশাসন যা করার করবে। সবটা এখানে বলছি না।’’
উত্তরবঙ্গে আগামী দু’তিন দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই মতো উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় রবিবার বৃষ্টি হয়। বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছু ক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ে।