ঘন কুয়াশা ভেদ করে পাহাড়ে ওঠার পথে টয় ট্রেন। শুকনা ও রংটংয়ের মাঝে। ছবি: বিনোদ দাস
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা নামল অনেকটাই। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের চেয়ে নেমে গেল জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা। গ্যাংটকের নীচে থাকল কোচবিহার। উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্য প্রবাহের জেরে গত কয়েক দিন থেকেই শীতের দাপট উত্তরবঙ্গে বাড়ছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ধীরে ধীরে কুয়াশার পরত কিছুটা কেটে গেলেও তাপমাত্রা উঠতে শুরু করবে। তবে পাহাড়ে আগামী ১২ ডিসেম্বরের পরে ঝঞ্ঝার পূর্বাভাসও রয়েছে।
কিন্তু এই শীতের সময় পাহাড়ের চেয়ে সমতলের তাপমাত্রা কী ভাবে নেমে যাচ্ছে?
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ঝঞ্ঝামুক্ত পরিবেশে রোদ পাহাড়ে দিনের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তেমনই উপত্যকা বেয়ে উঠে রাতের দিকের মেঘ পাহাড়ের তাপমাত্রা বেশি নামতে দিচ্ছে না। তাই দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে এখন মোটের উপর মনোরম পরিবেশ। যদিও এর উল্টো দিকে, সমতলের জেলাগুলিতে রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের ঝঞ্ঝার প্রভাব। সে জন্য দার্জিলিং জেলার সমতলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় রয়েছে কুয়াশার আস্তরণ। তার সঙ্গে গত কয়েক দিন থেকে ঝিরঝিরে হাওয়ার প্রভাবে এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কার্যত মরসুমের ‘রেকর্ড’ গড়েছে। যদিও দিনের বেলায় কুয়াশা কেটে রোদের তাপ বেশি হওয়ায় হঠাৎ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই উঠে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই দিনের তাপমাত্রা বেড়েছে। কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে গিয়ে মরসুমের শীতলতম দিন পেয়েছে উত্তরবঙ্গের চার জেলা।
শীতের সময় পাহাড়ের তুলনায় সমতলে ঠান্ডা বেশি হওয়া এক রকম বিরল ঘটনাই। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পাহাড়ে আগামী কয়েক দিন রোদ থাকবে। তবে ১২ জানুয়ারির পরে, ঝঞ্ঝার জেরে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সমতলের কুয়াশা ধীরে ধীরে কাটছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রাও বাড়বে।’’
উত্তরবঙ্গের চার জেলায় জেলায় এ দিন শীতলতম দিন থাকলেও দুপুরের রোদের জন্য বিকেলের পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। কোচবিহারের বাসিন্দা ধনঞ্জয় দে বলেন, ‘‘এ বারের ঠান্ডাটা অন্য রকম। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ঘর থেকে বেরোনো যায়নি।’’ এ দিন দুপুরে অন্যান্য জেলার সঙ্গে রোদ দেখা যায় কোচবিহারেও।