মীরদাদপুর অঞ্চলের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষের জমিতে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান কয়েক জন। —নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গলে পাওয়া ‘সোনার দুর্গামূর্তি’ নিয়ে হুলস্থুল মালদহের মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুরের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। কুড়িয়ে পাওয়া মূর্তি নিয়ে চলছে পুজোআচ্চা। ওই মূর্তি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অগণিত ভক্ত। বসে গিয়েছে মেলাও।
বুধবার মীরদাদপুর অঞ্চলের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষের জমিতে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান কয়েক জন। সেই খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে বাড়ে কৌতূহলী জনতার ভিড়। তাঁরা মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। দাবি করা হয়, মূর্তিটি সোনার। ওই মূর্তি সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। মূর্তিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু জেলার মহকুমা শাসক লাডেন লেপচার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলের হাতে ওই মূর্তি তুলে দিতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকরা।
মূর্তিটি সত্যিই সোনার কি না তা নিয়ে এখনও নিয়ে নিশ্চিত নন প্রশাসনিক কর্তারা। তবে তাতে মূর্তির মাহাত্ম্য কমেনি। বরং ঘটা করে পুজো হচ্ছে। ‘দেবতার জন্ম’ ঘিরে ভক্ত সমাগমে গমগম করছে ঘোষপাড়া। বসেছে মেলা। চলছে বিকিকিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তিটির যাবতীয় পরীক্ষা এলাকাতেই করতে হবে। অন্য কোথাও সেটি নিয়ে যাওয়া যাবে না।
এই মূর্তি-রহস্য নিয়ে সদর মহকুমা শাসক লাডেন লেপচা বলেন, ‘‘মূর্তিটি মাটির ভিতরে ছিল না। জঙ্গলে পড়ে ছিল। স্থানীয়দের দাবি এটি সোনার। তা পরীক্ষার জন্য অথবা তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য পরীক্ষা করতে হবে। তাই ওটি নিতে এসেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় তা হল না। পুরো ঘটনাটি জেলাশাসককে জানানো হচ্ছে।’’