বর্ষায় ভয়াবহ রূপ নেয় শান্ত ডুডুয়া। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা বাঁধ। অল্প বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয় গ্রাম। নদীর জল ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। তাই বর্ষার আগে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা এলাকার মানুষ।
গত বছর পাঁচেক ধরেই বর্ষার আগে থেকেই উদ্বেগ চেপে ধরে সাঁকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকসভা এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের বাস ডুডুয়া নদীর পাড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বছর পাঁচেক আগে ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্সে প্রবল বর্ষণে জলস্ফীতি দেখা দেয় একাধিক নদীতে। সেই সময় ভেঙ্গে যায় মল্লিকসভা এলাকায় ডুডুয়া নদীর উপর প্রায় ৯০০ মিটার বাঁধ। তার পর থেকে বাঁধ সারানো হয়নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম রায়ের কথায়, ‘‘৫ বছর ধরেই ভাঙা অবস্থায় রয়েছে বাঁধটি। আমরা জেলাশাসক, বিডিও, সেচ দফতরের অফিস থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন সময় দরবার করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এ বার কী হবে জানি না।’’ ডুডুয়ার বাঁধ নিয়ে একইরকম আশঙ্কার সুর মল্লিকসভার বাসিন্দা নরেশচন্দ্র রায় এবং সঞ্জিত রায়ের গলাতেও। প্রসঙ্গত, গত বর্ষাতেও নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে গোটা গ্রাম। প্লাবনের জলে জমি বার বার ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরাও।
নদীর তীরের জমি থএকে আগেভাগেই ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। নিজস্ব চিত্র
মল্লিকসভার আতঙ্কের কথা শুনে জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক (সেচ) সুব্রত শুর বলেন, ‘‘গত বছর সেচ দফতরের পক্ষ থেকে সাধুরঘাটে ছোট একটি বাঁধের কাজ করা হয়েছিল। চেষ্টা করছি নতুন করে একটি পরিকল্পনা করে বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়ার। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আবার জানাব।’’