অসম্পূর্ণ: কবে কাজ শেষ হবে, তারই অপেক্ষায় বাসিন্দারা। ইসলামপুর বাইপাসও পড়ে রয়েছে এমনই অবস্থায়। নিজস্ব চিত্র
বাইপাসের কাজের গতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে ইসলামপুরে। এলাকার সড়ক নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, বাইপাসের কাজ চলছে। মহকুমাশাসক অলঙ্কিতা পাণ্ডে বলেন, ‘‘কাজের বিষয়ে জেলা প্রশাসন নজর রেখেছে। ১৩ অগস্ট কাজের গতি ও বাইপাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেই আলোচনার পরেই পুরো বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব হবে।’’
ইসলামপুর শহরের মূল রাস্তায় জাতীয় সড়ক। বাম আমলে ওই প্রকল্প নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও দীর্ঘ দিন ধরেই জমি জটিলতায় আটকে ছিল বাইপাসের কাজ। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাতে হস্তক্ষেপ করেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে। পরে অবশ্য জমিজট কাটিয়ে শুরু হয় বাইপাসের কাজ। তবে কাজ নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের দাবি, কাজ শুরু হওয়ার পরে যে গতি দেখা গিয়েছিল এখন তা অনেকটাই কম। বাইপাস না হওয়া পর্যন্ত যানজট কাটানো মুশকিল। ইসলামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘বর্ষার কারণে কাজের গতি কিছুটা কম হলেও হতে পারে। তবে বাইপাসের কাজ হচ্ছে। বাইপাসের কাজে নিযুক্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা সম্ভব হবে কবে সম্পন্ন হতে পারে কাজ। তবে ২০২০ সালের আগে কাজ সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়।’’
যদিও কৃষকদের অভিযোগ, বাইপাসের কাজে তাঁদের জমি নেওয়া হলেও জমির মূল্য দেওয়া হয়নি। এমনকি সম্প্রতি বাইপাসের জমির টাকা দেওয়া নিয়ে ভূমি রাজস্ব দফতর ব্যবস্থা নিলেও কৃষকরা এখনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ। অলঙ্কিতা জানান, ‘‘বিষয়টি জেলার অতিরিক্ত ভূমি রাজস্ব দফতর দেখছে। কৃষকেরা কেউ বেশি টাকা পাবেন কেউ কম। সংশ্লিষ্ট দফতর সেটি দেখছে। জেলার বৈঠকের পরে বলা সম্ভব হবে।’’