Waterlogged

বেহাল নিকাশি, বাঁধ ভেঙে জল-যন্ত্রণা

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনীর কর্মীদের তৈরি রাখা হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে ত্রাণ শিবিরও তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৭:০১
Share:

টানা বর্ষণে জমল জল,জলবন্দি কোচবিহার শহর, মঙ্গলবার কোচবিহার বাসস্ট্যান্ডে। ছবিঃ মুক্তাঙ্কন বর্মণ।

সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি কোচবিহারে। বৃষ্টি চলছে আলিপুরদুয়ারেও। কোচবিহারে শহরের একাধিক রাস্তা জলে ভাসছে। বেশ কিছু এলাকা জলবন্দি। জল বেড়েছে তোর্সা নদীর। তবে তা এখনও বিপদসীমার নীচেই রয়েছে। কেন বৃষ্টি হলেই জলে ডুবছে শহর, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের নিকাশির হাল ভাল নয়। পরিকল্পনা মতো ‘হাইড্রেন’ তৈরি করা হয়নি। সে জন্যই ঘণ্টার পরে ঘণ্টা শহরের নিচু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। সমস্যার কথা মেনে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘‘পরিকল্পনা মতো হাইড্রেন তৈরি করা হয়নি বলেই এই অবস্থা। ইতিমধ্যে ৫২ কোটি টাকায় নতুন হাইড্রেন তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’’ জল-যন্ত্রণা চলছে আলিপুরদুয়ারেও। মঙ্গলবার শিসামারা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে সংলগ্ন এলাকায়।

Advertisement

এ দিকে, অতিবৃষ্টিতে মাথাভাঙা শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পচাগড় থেকে গোলঘর এবং নগর মাথাভাঙা থেকে লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় নেমেছে ধস। দিনহাটার মাতালহাটে বুড়া ধরলা নদীর জল বেড়ে ভেসেছে নদী সংলগ্ন গ্রাম। কুটিবাড়ি, বাইশগুড়ি ও পাখিহাগা গ্রামেও প্রায় আড়াইশো মানুষ জলবন্দি। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় শুকনো খাবার বিলিকরা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জলমগ্ন ক্রান্তিতে যান সেচ বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। চেল, ধরলা, খুলনাই নদীর জল ঢুকে বেহাল ক্রান্তি পঞ্চায়েতের হাজিটারি, পালপাড়া, চিকণমাটি, গঙ্গাদেবী-সহ একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি আলিপুরদুয়ার- ১ ব্লকের শিসামারা নদী নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শালকুমারহাট-১ পঞ্চায়েতে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনে শিসামারা নদীর মাটির বাঁধের প্রায় আড়াইশো মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছে। ওই অংশ দিয়েই নদীর জল মঙ্গলবার এলাকায় ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে পরিদর্শনে যান আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিডিওজয়ন্ত রায়।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনীর কর্মীদের তৈরি রাখা হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে ত্রাণ শিবিরও তৈরি হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “ভুটান পাহাড় থেকে আসা নদীর জলে প্রতি বছরই মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। একই কারণে শিসামারা নদীর উপচে শালকুমারহাট এলাকার বাসিন্দাদেরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।” এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ভারত-ভুটান নদী কমিশন তৈরির দাবি তোলেন বিধায়ক। সেচ দফতরের আলিপুরদুয়ারের মুখ্য নির্বাহী বাস্তুকার অমরেশ সিংহ জানান, ভাঙন রুখতে প্রাথমিক কাজ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বর্ষার পরে, স্থায়ী বাঁধ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। অন্য দিকে, গরম নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের মধ্য বায়রাগুড়ি এলাকাতে বেশ কিছু কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement