অপেক্ষা: ফালাকাটা হাসপাতালে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার বীরপাড়ার জনসভা থেকে রিমোটে ফালাকাটার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার থেকে শুরু হল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগ। এ দিন সব বিভাগের সামনে উপচে পড়ে রোগীদের ভিড়।
শুক্রবার বহির্বিভাগের সাধারণ বিভাগ, স্ত্রীরোগ, শিশুরোগ, দন্ত, মানসিক বিভাগ সহ প্রতিটি বিভাগের চিকিৎসকরা রোগী দেখেন। ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালের পিছনেই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। শুধু ফালাকাটা ব্লক নয়, বর্তমানে এই হাসপাতালের বহির্বিভাগের উপর নির্ভর করেন বা করবেন কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ব্লকের বড় শৌলমারি, ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের হাজার হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বীরপাড়ার জনসভা থেকে রিমোটে উদ্বোধনের কথা বলার পরেই একটি ছোট অনুষ্ঠানের পরেই ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী হাসপাতালের ফলক উন্মোচন করেন। উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা, হাপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ সহ অনেকেই। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, “৮ মাসের মধ্যে ১০০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালু হবে। দেড় বছরের মধ্যে ৩০০ শয্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু করা হবে। এমআরআই, সিটি স্ক্যান সহ মিলবে যাবতীয় পরীক্ষার পরিষেবা। হবে ব্লাড ব্যাঙ্কও। প্রয়োজনীয় সব বিভাগের চিকিৎসক থাকবে।”
শুক্রবার বহির্বিভাগ চালু হওয়ার পর খুশি রোগীরাও। মাথাভাঙার বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুলডাঙা গ্রাম থেকে কুকুরের কামড় খেয়ে আসা মনমোহন বর্মন বলেন, “ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল দেখে মনটা ভাল লাগছে। এখন চিকিৎসা পরিষেবা ঠিক মতো পেলে পরে বলব, ভাল হাসপাতাল।” ক’দিন ধরে জ্বর-কাশিতে কাবু ফালাকাটার পারঙ্গেরপার গ্রামের বাসিন্দা ঊর্মিলা মজুমদার বলেন, “পরিষ্কার পরিছন্নতা দেখে ভাল লাগছে। আমাদের দাবি, হাসপাতাল হলেও দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে উদ্যোগী হোক সরকার।”