উদ্বেগ: চিকিৎসা চলছে অজানা জ্বরে আক্রান্তদের। নিজস্ব চিত্র
বংশীহারি ব্লকে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই চার জন বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি প্রায় ৩০ জন বাসিন্দা জ্বর নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, চার জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে আতঙ্ক যাতে না ছড়ায়, এ জন্য গ্রামে গ্রামে সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বংশীহারি ব্লকের ঘাসিপুর ও শ্যামপুরে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। গত সপ্তাহে শ্যামপুরের বাসিন্দা এক যুবকের ডেঙ্গি হয়। তারপরেই পাশাপাশি এই দুই গ্রামের আরও তিন বাসিন্দা জ্বর নিয়ে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া যায়। এর পরেই তাদের চার জনকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘চার জনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’’ এদিকে, ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিতেই ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। যা নিয়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দুই গ্রামের প্রায় ৩০ জন বাসিন্দা অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পেলেই ডেঙ্গি হয়েছে কিনা প্রমাণ মিলবে। এই অবস্থায় এলাকায় এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম তৈরি করা হয়েছে। সেই টিমের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। শুধু প্রচারই নয়, প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে নোংরা, আবর্জনা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নর্দমা সাফাই, বদ্ধ জলে মশার লার্ভা মারার তেল স্প্রে করছেন তাঁরা। এ ছাড়াও জ্বরে আক্রান্তদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করছে এই বিশেষ টিম। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘মরসুমি জ্বর নিয়ে কিছু বাসিন্দা ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় এজন্য লাগাতার প্রচার, সচেতনতা শিবিরও আমরা করছি।’’