চাঁচলের কালীগঞ্জে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ, ভোগান্তি যাত্রীদের, শুক্রবার
দু’টি পৃথক এলাকায় জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক অবরোধের জেরে তেতে উঠল এলাকা। বাইপাসের বদলে পুরনো রুটে বাস চালানোর দাবিতে এ দিন সকাল থেকে মালদহের চাঁচলের কালীগঞ্জে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ হয়। চার ঘণ্টা ধরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় চাঁচলের সঙ্গে মালদহের যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। চরম বিপাকে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকায় নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ভালুকাতেও বিহারগামী সড়ক দু’ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
চাঁচলের মহকুমাশাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’টি এলাকাতেই দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ভালুকার সমস্যা নিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলছি।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে সমস্ত বাস মালতীপুর বাস স্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করত। বাইপাস তৈরি হওয়ার পর পুরনো রুটে যাত্রিবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে আগে আন্দোলন হওয়ায় প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একদিন পুরনো রুটে বাস চালানোর পর ফের বাইপাস দিয়েই বাস যাতায়াত করছে। এর পরই এ দিন অবরোধ শুরু হয়।
গৌড়বঙ্গ বাস ওনার্স সমিতির সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরনো রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে এতটাই বেহাল যে বাস চালালেই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা সংস্কারের কথা বলা হলেও তা হয়নি।’’
এ দিকে ভালুকা বাজার, মসজিদ পাড়া, মহালদার পাড়ায় পুরনো নিকাশি নালা ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ। নর্দমার জল উপচে রাস্তায় এসে পড়ছে। সেই জলকাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পঞ্চায়েতকে বারবার বলার পরও ব্যবস্থা হচ্ছে না বলে অভিযোগে এদিন রাজ্য সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড বেধে শুরু হয় অবরোধ।
দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিনি আখতারা। তিনি বলেন, ‘‘আগামী মাসের শুরুতেই এলাকার নিকাশি নালাগুলি সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’