গ্যাসভর্তি ট্যাঙ্কার উল্টে গিয়ে আতঙ্ক

গ্যাসভর্তি ট্যাঙ্কার নয়ানজুলিতে পড়ে আতঙ্ক ছড়ালো জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে৷ এ দিন ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ এই ঘটনার জেরে ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে৷ ফলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:২৪
Share:

পড়ে যাওয়া এই ট্যাঙ্কার থেকেই আতঙ্ক ছড়ায়। — নিজস্ব চিত্র

গ্যাসভর্তি ট্যাঙ্কার নয়ানজুলিতে পড়ে আতঙ্ক ছড়ালো জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে৷ এ দিন ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ এই ঘটনার জেরে ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে৷ ফলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ পরে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ গিয়ে ট্যাঙ্কারটি থেকে গ্যাস বেরনো বন্ধ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়৷

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির ওপর দিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে গ্যাসভর্তি ওই ট্যাঙ্কারটি গুয়াহাটিতে যাচ্ছিল৷ কিন্তু ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড়ের কাছে কারও ছোড়া একটি ঢিলের আঘাতে জখম হন ট্যাঙ্কারের চালক৷ বিডিও অফিস লাগোয়া এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত ট্যাঙ্কারটি নিয়ে গিয়ে সেখানকার কর্মীদের থেকে সাহায্য চান তিনি৷ পাম্পকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ ফলে রাতে পাম্পের কাছে রাস্তার ধারে দাড়িয়েছিল ট্যাঙ্কারটি৷

ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ আচমকাই ট্যাঙ্কারটিতে লোহার রড বোঝাই একটি লরি ধাক্কা মারে৷ যার জেরে ট্যাঙ্কারটি রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হন লরির খালাসি৷ এ দিকে নয়ানজুলিতে পড়ে যেতেই ট্যাঙ্কারটি থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে৷ মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ও দমকল৷ গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কের যান চলাচল৷ বন্ধ হয়ে যায় পেট্রোল পাম্পটিও৷ প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে আগুন জ্বালাতে নিষেধ করা হয়৷ স্থানীয় বাসিন্দা খালেক আলম, অক্ষয় রায়েরা বলেন, ভোররাতের দিকে বিকট একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়৷ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ভেবে দৌড়ে বেড়িয়ে আসি৷ তারপর দেখি ট্যাঙ্কারটি নয়ানজুলিতে পড়ে রয়েছে, আর সেখান থেকে অনবরত গ্যাস বেরিয়ে চলেছে৷

Advertisement

এ দিকে প্রশাসন মারফত খবর পেয়ে ভোরবেলাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্তারা৷ তাঁরাই ট্যাঙ্কারটি মেরামত করে গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করেন৷ আটটার পর জাতীয় সড়কে ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়৷ খুলে দেওয়া হয় পেট্রোল পাম্পটিও৷ নটার পর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে৷ বেলা এগারোটা নাগাদ ক্রেন এনে ট্যাঙ্কারটিকে নয়ানজুলি থেকে তোলা হয়৷ সেই সময় ফের ঘণ্টাখানেক জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়৷ ময়নাগুড়ির ভারপ্রাপ্ত বিডিও অনিরুদ্ধ লাহিড়ী বলেন, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে৷ জাতীয় সড়কেও স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলেছে৷ ট্যাঙ্কারের চালক ও লরির খালাসি জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement