শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। — ফাইল চিত্র।
অতীতে যাঁরা জলপাইগুড়িতে ‘দল চালাতেন’, তাঁদেরও বৈঠকে ডাকতে বলেছেন জেলা তৃণমূলের সংগঠন দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। আজ, শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি।
বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলা পার্টি অফিসে বৈঠক হওয়ার কথা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ ছাত্র পরিষদ, যুব তৃণমূল, মহিলা তৃণমূল এবং শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি এবং নেতাদের ডাকা হয়েছে বৈঠকে। জেলার প্রাক্তন সভাপতি চন্দন ভৌমিককেও ডাকা হয়েছে এবং আগের জেলা কমিটির সময় যে নেতারা দলের কাজকর্ম পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতেন, তাঁদেরও ডাকা হয়েছে বলে খবর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জেলা তৃণমূলের সবাইকে এক ছাদের তলায় চাইছেন গৌতম। তিনি শুক্রবার বলেন, ‘‘আগামিকাল বৈঠকে সবাই মিলে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চাই। সবাই মিলে পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে হবে।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপও জেলা তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরতে চাইছেন গৌতম দেবের সামনে। মহুয়া বলেন, ‘‘দলের সকলে এক রয়েছেন। যদি এখনও কোথাও, কারও, কোনও সমস্যা থেকে থাকে, গৌতম দেবের মতো অভিজ্ঞ নেতার পরামর্শে সে সব দূর হয়ে যাবে।’’
সম্প্রতি দলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে প্রকাশ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ বেধেছিল তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের। দু’পক্ষই বৈঠকে থাকবে বলে খবর। সে ‘দ্বন্দ্ব’ মেটাতেও গৌতম দেবের হস্তক্ষেপ জেলার তরফে চাওয়া হবে। যদিও ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে জেলা। এ দিনের বৈঠকে সে প্রসঙ্গ উঠবে বলেই ধরে রেখেছেন জেলার নেতারা।
তৃণমূলের পুরনো দিনের নেতাদের এই জরুরি বৈঠকে ডাকায় দলের একাংশ মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কোনও কমিটি তৈরি করা হলে, তাতে সেই সব নেতারাও থাকবেন। দলের প্রাক্তন সভাপতি চন্দন ভৌমিককে সম্প্রতি ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে পাঠাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দীর্ঘ সময় জেলা রাজনীতিতে চন্দন ভৌমিককে ‘সক্রিয়’ রাখেনি দলের রাজ্য স্তর। তার পরে, ফেরচন্দনকে দিদির দূতে গ্রামে-গ্রামে পাঠানো নিয়ে দলে ঐক্যের বার্তাও দেওয়া হচ্ছে।
এ দিন চন্দন ভৌমিক বলেন, ‘‘বৈঠকে যাব। আমি জেলা সভাপতি থাকার সময় যাঁদের নিয়ে দল করতাম, যাঁরা নানা পদে ছিলেন, তাঁদেরও বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। দলের সঙ্গে সকলেই রয়েছেন।’’